রযুক্তির দুনিয়াটা এমনই যে আজ যা নতুন কালই তা পুরোনো। প্রযুক্তির
কল্যাণেই একের পর এক এই পরিবর্তন। তথ্য সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে একসময়
ফ্লপি ডিস্কের খুব প্রচলন ছিল। এখন ফ্লপির যুগ শেষ। সিডির পর এল ডিভিডি।
এখন এগিয়ে যাচ্ছে ব্লু-রে ডিস্ক। কারণএকটিই কম জায়গায় বেশি তথ্য বা ডেটা
ধারণ।প্রযুক্তির ছোঁয়ায় একদিন এসবও হারিয়ে যাবে, নতুন কিছু দিয়ে কাজ
করবে মানুষ। হারিয়ে যাওয়ার আগেই তথ্য সংরক্ষণে ডিস্ক প্রযুক্তির বিভিন্ন
ধরন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সিডিএকসময় গান শোনার প্রধান মাধ্যম ছিল গ্রামোফোন বা কলের গান। একদিন দেখা গেল, গবেষক আর প্রকৌশলীদের পাল্লায় পড়ে সেই গোল থালা বা চাকতির আকার অনেক ছোট হয়ে এসেছে। পরিবর্তিত হয়ে যার নাম হয়েছে সিডি বা কমপ্যাক্ট ডিস্ক। সিডি হচ্ছে লেজার-ডিস্ক প্রযুক্তির একটি উদ্ভাবন। এটি অপটিক্যাল ডিস্ক, যা ডিজিটাল তথ্য যেমন লেখা, ছবি, ভিডিও, গানসহ বিভিন্ন রকমের ডেটা সংরক্ষণে ব্যবহূত হয়ে থাকে। প্রথমদিকে এটি, বিশেষ করে শব্দ ধারণ করতে ব্যবহার করা হতো। সিডির তথ্য পাঠ করার জন্য ইনফ্রারেড লেজার ব্যবহূত হয়, যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৭৮০ ন্যানোমিটার। সিডির এখন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও অনেক দেশেই জনপ্রিয়তার তালিকায় এখনো নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এই বহনযোগ্য মাধ্যমটি। সিডি প্রথম বাজারে আসে সনি ও ফিলিপসের যৌথ প্রচেষ্টায়, ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে। একটি সিডি ৭০০ মেগাবাইট ডেটা ধারণ করতে পারে, যা ৮০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। এটি প্রি-রেকর্ডেড, রেকর্ডেবল ও রিরাইটেবল—তিন ধরনের হয়ে থাকে। সিডি সাধারণত পলিকার্বনেট প্লাস্টিকের তৈরি এবং প্রায় ১৫ থেকে ২০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে। সিডি আকারে প্রথমবারের মতো অডিও অ্যালবামটি বাজারে এসেছিল, সেটি ছিল বিখ্যাত ব্যান্ড দল অ্যাবার অ্যালবাম দ্য ভিজিটরস।
সিডিএকসময় গান শোনার প্রধান মাধ্যম ছিল গ্রামোফোন বা কলের গান। একদিন দেখা গেল, গবেষক আর প্রকৌশলীদের পাল্লায় পড়ে সেই গোল থালা বা চাকতির আকার অনেক ছোট হয়ে এসেছে। পরিবর্তিত হয়ে যার নাম হয়েছে সিডি বা কমপ্যাক্ট ডিস্ক। সিডি হচ্ছে লেজার-ডিস্ক প্রযুক্তির একটি উদ্ভাবন। এটি অপটিক্যাল ডিস্ক, যা ডিজিটাল তথ্য যেমন লেখা, ছবি, ভিডিও, গানসহ বিভিন্ন রকমের ডেটা সংরক্ষণে ব্যবহূত হয়ে থাকে। প্রথমদিকে এটি, বিশেষ করে শব্দ ধারণ করতে ব্যবহার করা হতো। সিডির তথ্য পাঠ করার জন্য ইনফ্রারেড লেজার ব্যবহূত হয়, যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৭৮০ ন্যানোমিটার। সিডির এখন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও অনেক দেশেই জনপ্রিয়তার তালিকায় এখনো নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এই বহনযোগ্য মাধ্যমটি। সিডি প্রথম বাজারে আসে সনি ও ফিলিপসের যৌথ প্রচেষ্টায়, ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে। একটি সিডি ৭০০ মেগাবাইট ডেটা ধারণ করতে পারে, যা ৮০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। এটি প্রি-রেকর্ডেড, রেকর্ডেবল ও রিরাইটেবল—তিন ধরনের হয়ে থাকে। সিডি সাধারণত পলিকার্বনেট প্লাস্টিকের তৈরি এবং প্রায় ১৫ থেকে ২০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে। সিডি আকারে প্রথমবারের মতো অডিও অ্যালবামটি বাজারে এসেছিল, সেটি ছিল বিখ্যাত ব্যান্ড দল অ্যাবার অ্যালবাম দ্য ভিজিটরস।
ডিভিডি
তথ্য সংরক্ষণের আরেকটি জনপ্রিয় ফরম্যাট হলো ডিভিডি।
সনি ও ফিলিপসের সঙ্গে জাপানের তোশিবা যুক্ত হয়ে কমপ্যাক্ট ডিস্কের
আধুনিক সংস্করণ ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক বা ডিভিডি প্রযুক্তির উন্মেষ ঘটায়
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে। আধুনিক ডিজিটাল যুগের অনেক বেশি তথ্য রাখার চাহিদা
থেকে এর সৃষ্টি। ডিভিডি প্রযুক্তি বাজারে আসার পর ভিডিওচিত্র সংরক্ষণ ও
ভিডিও ছবি দেখার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। ভিডিও প্রযুক্তির
ক্ষেত্রে এর বহুবিধ ব্যবহারের জন্য ডিভিডিকে অনেকে ডিজিটাল ভার্সেটাইল
ডিস্ক হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন। একক স্তর বা লেয়ার-বিশিষ্ট এই ডিস্কের
ধারণক্ষমতা সাধারণত ৪ দশমিক ৭ গিগাবাইট (১০২৪ মেগাবাইট = ১ গিগাবাইট)।
দ্বৈত স্তরের ক্ষেত্রে এই ধারণক্ষমতা হয় ৮ দশমিক ৫৪ গিগাবাইট। একটি ৪
দশমিক ৭ গিগাবাইটের ডিভিডিতে একটি সিডির প্রায় ছয় গুণ বেশি তথ্য রাখা
যায়। ডিভিডির লেজার হিসেবে ৬৫০ ন্যানোমিটারের লাল বর্ণের তড়িৎ-চুম্বকীয়
তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে চলচ্চিত্র দেখার জন্য ডিভিডির ব্যবহার
বেশি হয়ে থাকে। ডিভিডি উপভোগ করার জন্য দরকার ৭২০ x ৫৭৬ রেজ্যুলেশনের টিভি
বা পর্দা।
ব্লু-রে ডিস্ক
ব্লু-রে ডিস্ক শুধু বিডি বা ব্লু-রে নামেও পরিচিত। ডিভিডি বা সিডির মতো
ব্লু-রে ডিস্কের রয়েছে একই মানের আকার। এর প্রধান ব্যবহার হচ্ছে
হাইডেফিনিশন ভিডিও, প্লেস্টেশন-৩ ভিডিও গেম এবং অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত
সংরক্ষণে। প্রতিটি একক লেয়ার-বিশিষ্ট ব্লু-রে ডিস্ক ২৫ গিগাবাইট পর্যন্ত
তথ্য ধারণ করতে পারে। অন্যদিকে, দ্বৈত লেয়ারের ক্ষেত্রে এই ধারণক্ষমতা হয়
৫০ গিগাবাইট। ব্লু-রে ডিস্ক নামটি এসেছে এই ডিস্কে ব্যবহূত নীল-বেগুনি
লেজারের (ব্লু-ভায়োলেট লেজার) নামানুসারে। ব্লু-রে ডিস্কের তথ্য পাঠ করতে
এই লেজার ব্যবহূত হয়। ব্লু-রে ডিস্কে ব্যবহূত লেজারের তরঙ্গদৈর্ঘ্য
তুলনামূলক ছোট, প্রায় ৪০৫ ন্যানোমিটার। এ কারণে প্রচলিত ডিভিডির থেকে এটি
প্রায় ১০ গুণ বেশি তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। তবে ব্লু-রের জন্য দরকার
ন্যূনতম ২৪ ইঞ্চি মনিটর অথবা টিভি, যা সাপোর্ট করে সম্পূর্ণ এইচডি কনটেন্ট।
বর্তমানে বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স,
পার্সোনাল কম্পিউটার, রেকর্ডিং মিডিয়া, ভিডিও গেম, মিউজিক কোম্পানিসহ
প্রধান প্রধান শীর্ষস্থানীয় মুভি স্টুডিওগুলোও এই ফরম্যাটকে সমর্থন করছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আটটি মুভি স্টুডিওর মধ্যে সাতটি মুভি স্টুডিও যেমন
ডিজনি, ফক্স, ওয়ার্নার, প্যারামাউন্ট, সনি, লায়নগেট ও এমজিএম তাদের
সাম্প্রতিক মুভি ব্লু-রে ফরম্যাটে প্রকাশ করছে।
Post a Comment