a mobile banking service

Free Web Hosting

Free Hosting

একই সাথে একটি কম্পিউটারে ব্যাবহার করুন দুটি বা তার অধিক Skype অ্যাকাউন্ট

Skype এর নাম শুনে নাই এমন মানুষ খুব কমই আছে বোধ করি। তবে না শুনলেও সমস্যা নাই। এটি একটা ভিডিও এবং টেক্সট চ্যাট সফটওয়্যার । Skype এ সাধারণত  একই সময়ে একটি অ্যাকাউন্ট দিয়ে  লগ ইন করা যায় । তবে আপনি চাইলেই কিন্তু একের অধিক অ্যাকাউন্ট থেকে লগ ইন করতে পারেন । অনেক সময় দেখা যায় আপনি ফ্রীলাআন্সিং করছেন আপনার ক্লাইয়েন্ত এর সাথে আর আপনার আবার বন্ধু বান্ধব্দের খোজ খবর ও রাখা দরকার । আপনি চান দুই দুনিয়া আলাদা থাক । তখন আপনি এইকাজটা করতে পারেন । মানে দুই Skype account একসাথে চালাতে পারেন । আরো অনেক কারন থাকতে পারেন অইদিকে গেলাম না ।
তো আসুন কিভাবে করবেন একি সাথে একের অধিক অ্যাকাউন্ট লগ ইন । নিচের নির্দেশনা গুলো অনুসরন করুন , আশা করি হয়ে যাবে । আর আপনিও সিখে যাবেন এই Tricks টিঃ
skype logo একই সাথে একটি কম্পিউটারে ব্যাবহার করুন দুটি বা তার অধিক Skype অ্যাকাউন্ট
আপনি যদি উইন্ডোজ XP ইউজার হয়ে থাকেনঃ
  1. Windows taskbar থেকে , click করুন  Start > Run (অথবা  press করুন  Windows Key and R keys একসাথে আপনার কীবোর্ড থেকে)
  2. নিচের কমান্ড টি Quote সহ লিখুন আর এন্টার দিন অথবা Ok বাটন চাপুন
    “C:Program FilesSkypePhoneSkype.exe” /secondary 
আপনি যদি উইন্ডোজ Vista or উইন্ডোজ  7 ইউজার হয়ে থাকেনঃ
  1. উইন্ডোজ টাস্কবার থেকে,Start  ক্লিক করুন তারপর অনুসন্ধান করুন Run  (অথবা  press করুন  Windows Key and R keys একসাথে আপনার কীবোর্ড থেকে)
  2. নিচের কমান্ড টি Quote সহ লিখুন আর এন্টার দিন অথবা Ok বাটন চাপুন (৩২ বিট অপারেটিং এর ক্ষেত্রে)
    “C:Program FilesSkypePhoneSkype.exe” /secondary
  3. নিচের কমান্ড টি Quote সহ লিখুন আর এন্টার দিন অথবা Ok বাটন চাপুন (৬৪ বিট অপারেটিং এর ক্ষেত্রে)
    “C:Program Files (x86)SkypePhoneSkype.exe” /secondary
এইতো আশা করি আপনি দুই বা ততোধিক  skype রান করাতে পারবেন । প্রতি বার একি কমান্ড প্রয়োগ করুন।

মাত্র একটি ক্লিক করে আপনার কম্পিউটার পরিষ্কার করুন

কম্পিউটারে কাজ করলে বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য টেম্পোর‌্যারি (অস্থায়ী) ফাইল তৈরি হয়। কাজ শেষে এই ফাইলগুলোর কোনো প্রয়োজন থাকে না। আর বেশি পরিমাণে এসব ফাইল জমে গেলে কম্পিউটারের গতিও কমে যায়। এজন্য অনেকেই রানে গিয়ে কমান্ড দিয়ে এ ধরনের ফাইল মুছে ফেলেন। অনেকেই বিভিন্ন সফটওয়্যারও ব্যবহার করেন।
image 49963 0 মাত্র একটি ক্লিক করে আপনার কম্পিউটার পরিষ্কার করুন
তবে রানে গিয়ে ফাইল মোছা অনেক সময় ও ঝক্কিঝামেলার ব্যাপার। যেমন: %Temp%, Recent, History, Temporary, Microsoft Office Recent,  Temporary,  Internet Files, system32\1054, prefetch, Cookies, Offline Web Pages, system32\wbem\Logs ইত্যাদি কমান্ড দিয়ে তারপর ডিলিট করতে হয়।
কিন্তু চাইলেই একটি মাত্র ব্যাচ ফাইল তৈরি করে এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় সব ফাইল এক ক্লিকেই মুছে ফেলা যায়। এ জন্য নোটপ্যাডে একটি ব্যাচ ফাইল তৈরি করতে হবে। কাজটি খুব সহজেই করা সম্ভব।
নোট প্যাড ওপেন করুন। সেখানে নিচের কোডগুলো কপি-পেস্ট করুন।
@echo off
@echo.
del “C:\WINDOWS\Temp” /s /q
del “C:\Documents and Settings\User_Name\Recent” /s /q
del “c:\Documents and Settings\User_Name\local settings\temp” /s /q
del “c:\Documents and Settings\User_Name\local settings\history” /s /q
del “c:\Documents and Settings\User_Name\local settings\temporary” /s /q
del “C:\Documents and Settings\User_Name\Application Data\Microsoft\Office\Recent” /s /q
del “C:\Documents and Settings\User_Name\Local Settings\Temporary Internet Files” /s /q
del “C:\WINDOWS\system32\1054″ /s /q
del “c:\windows\prefects” /s /q
del “C:\Program Files\Uninstall Information” /s /q
del “c:\Documents and Settings\User_Name\Cookies” /s /q
del “C:\WINDOWS\Offline Web Pages” /s/q
del “C:\WINDOWS\Prefetch” /s/q
del “C:\WINDOWS\system32\wbem\Logs\*.log” /s/q
del “C:\WINDOWS\*.log” /s/q
msg %username% “Remover – By User_Name ”
exit
pause
@end
একই সঙ্গে ইউজার নেমে একটি নাম লিখুন। এজন্য কম্পিউটারের  লগইন করা নামটি Documents and Settings থেকে চেক করে নিন। এবার File > Save As এ ক্লিক করুন । File Name: Clear.bat এবং Save as type : All files সিলেক্ট করুন। এখন এটি ডেস্কটপে Save করুন।
তৈরি হয়ে গেলো ব্যাচ ফাইল। এখন শুধু এর ওপর ডাবল ক্লিক করলেই নিমেষেই সব অপ্রয়োজনীয় ফাইল পরিষ্কার হয়ে যাবে।

মাইক্রোসফট অফিস দিয়েই বাংলা বানান পরীক্ষা করে নিন

বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্প এখনো আসকি (ASCII) বা বিজয় নির্ভর। ইউনিকোড জগতে অভ্র অপ্রতিদ্বন্দ্বি হলেও মুদ্রনশিল্প, অফিস আদালতের কাজে বিজয়ের মুখাপেক্ষি হতে হয়। অনলাইনে যেসব বাংলা বানান নিরীক্ষক পাওয়া যায় যেগুলোর সবগুলোই ইউনিকোড নির্ভর।
তাই অফিসের কাজে বিজয় দিয়ে টাইপ করা কোন ডকুমেন্টের বানান হয়তো আপনি চেক করতে পারছেন না।
এই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এসেছেন ডেভলোপার জাহিদুল ইসলাম রবি। তিনি তৈরী করেছেন শুদ্ধ শব্দ নামের অসাধারণ একটি অ্যাডইনস যা মাইক্রোসফট অফিসে ভালমত ব্যবহার করা যায়। ব্যক্তিগতভাবে আমি Windows 7 এবং অফিস 2007 এ সফলভাবে ব্যবহার করতে পেরেছি।
এর শব্দভাণ্ডারে রয়েছে ১, ০৬, ০০০ এরও বেশি শব্দ যা সম্পূর্ণ আধুনিক বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে প্রণীত। এটিই একমাত্র কাজের অভিধান যেটিকে প্রিন্টিং বা প্রফেশনাল কাজে ব্যবহার করা সম্ভব।
টিউটোরিয়াল
1. প্রথমে মিডিয়াফায়ারের এই লিংক থেকে ‍শুদ্ধশব্দ ডাউনলোড করে নিন। সাইজ (4.31 MB)
2. আপনার পিসিতে ইন্সপল করে নিন।
3. মাইক্রোসফট অফিস দিয়ে ডকুমেন্ট ওপেন করুন।

4. Menu থেকে Add Ins এ ক্লিক করুন-
এখান থেকে Bangla Spelling এ ক্লিক করুন।

দেখুন আপনার টাইপকৃত ভুল শব্দটি মার্ক হয়ে সঠিক অনেকগুলো শব্দ সাজেস্ট করেছে!

৪ হাজার টাকার নিচে রাউটার

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। বাসা কিংবা অফিসে তারহীন রাউটার ব্যবহার করে সহজেই ঝামেলামুক্ত ইন্টারনেটসেবা সংযোগ পাওয়া যায় ডেস্কটপ, ল্যাপটপ কম্পিউটারে।একসঙ্গে কয়েকটি কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ পেতে এ ধরনের রাউটার বেশ কাজের। বাজারে চার হাজার টাকার মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের তারহীন রাউটার পাওয়া যায়।প্রোলিংক
প্রোলিংকের ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজের পিআরএন২০০১ রাউটারের দাম এক হাজার ৬৫০ টাকা। দুটি এক্সটার্নাল অ্যানটেনাযুক্ত ৩০০ এমবিপিএস গতির পিআরএন ৩০০১ মডেলের দাম দুই হাজার ১০০ টাকা। ডব্লিউএনআর১০০৪ রাউটারের দাম আড়াই হাজার টাকা। বহনযোগ্য ডব্লিউএনআর১০০৪সি রাউটারের দাম তিন হাজার টাকা। ব্যাটারিচালিত ও বহনযোগ্য প্রোলিংকের ডব্লিউএনআর১০১১ ফোরজি রাউটার পাবেনতিন হাজার ৮০০ টাকায়। খোলা জায়গায় ৩০০ মিটার সীমাক্ষমতার ৩০০ এমবিপিএস গতির পিডব্লিউএইচ২০০৪ রাউটারের দাম সাড়ে তিন হাজার টাকা।

ডি-লিংক
ডি-লিংকের তারহীন এন১৫০ রাউটারের দাম তিন হাজার ৬০০ টাকা। ডিআইআর-৬০০ ওয়্যারলেস ১৫০ রাউটারের দাম দুই হাজার ৮০০ টাকা। ডিআর-৬১৫ নেটওয়ার্ক রাউটারের দাম তিন হাজার ৭০০ টাকা। আরটি-এন১২ ইজেড এনের তারহীন রাউটার দাম তিন হাজার ৭০০ টাকা। ৩০০ মেগাবাইট স্পিডের ডিআইআর-৬৫০এল ক্লাউড রাউটারের দাম তিন হাজার ৭০০ টাকা।

আসুস
১৫০ এমবিপিএসের আসুস আরটি-এন১০ইউ থ্রিজি রাউটারের দাম দুই হাজার ৬০০ টাকা। চার পোর্টের আসুস আরএক্স-৩০৪১ ব্রডব্যান্ড রাউটারের দাম তিন হাজার ৯০০ টাকা।

টিপি-লিংকচার হাজার টাকার নিচে টিপি-লিংকের রাউটার আছে বাজারে। ১৫০ এমবিপিএস গতির টিএল-ডব্লিউআর৭৪০এন মডেলের রাউটারের দাম দুই হাজার ৪০০ টাকা। এতে রয়েছে একটি ফিক্সড অ্যানটেনাসহ চারটি ল্যানপোর্ট, একটি ওয়ান পোর্ট। দুটি অ্যানটেনাসহ ৩০০ এমবিপিএস গতির টিএল-ডব্লিউআর৮৪১ রাউটারের দাম তিন হাজার টাকা। তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তিনির্ভর ৩০০ এমবিপিএস গতির টিএল-এমআর৩৪২০ রাউটারের দাম পড়ে তিন হাজার টাকা। থ্রিজি ও টুজি মডেম দিয়ে এই রাউটার ব্যবহার করা যায়। ইন্টারনাল অ্যানটেনাযুক্ত ১৫০ মেগাবাইট স্পিডের ইউএসবি পোর্টযুক্ত টিএল-এমআর৩০২০ এবং সহজে বহনযোগ্য ব্যাটারিচালিত টিএল-এমআর৩০৪০ মডেলের তারহীন থ্রিজি রাউটারের দাম যথাক্রমে দুই হাজার ৭০০ টাকা ও সাড়ে তিন হাজার টাকা। টিএল-এমআর৩২২০ রাউটারের দাম দুই হাজার ৪০০ টাকা। টিএল-আর৪৬০ সোহো ব্রডব্যান্ডের ৪ পোর্টের রাউটারের দাম তিন হাজার ৪০০ টাকা।

বেলকিনবেলকিনের এফ৯কে১০০৯জেডবি তারহীন রাউটারের দাম তিন হাজার টাকা। এন১৫০ রাউটার এফ৭ডি১৩০১জেডবির দাম সাড়ে তিন হাজার টাকা। এফ৫ডি৭২৩৪একে৪-এইচ মডেলের দাম তিন হাজার ৬৫০ টাকা। এ ছাড়া বেলকিনের এ৩০০ ও এ১৫০ মডেলের দুটো তারহীন রাউটার পাওয়া যায় বাজারে। এই রাউটারগুলোর মাধ্যমে ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজ থেকে পাঁচ গিগাহার্টজ কম্পাঙ্কে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। রাউটারগুলো ১৫০ থেকে ৪৫০ এমবিপিএস গতিতে কাজ করে। এই রাউটারগুলোয় বেশ কয়েকটি ইউএসবি পোর্ট, চারটি গিগাবিট ইথারনেট পোর্ট রয়েছে।

আরও আছেনেটগিয়ার ডব্লিউএনআর৫০০ মডেলের ১৫০ এমবিপিএস গতির রাউটারের দাম আড়াই হাজার টাকা। নেটগিয়ারের ডব্লিউএনআর-১০০০ তারহীন রাউটারের দাম সাড়ে তিন হাজার টাকা।এমইএফআই রাউটার তিন হাজার ২০০ টাকা। মাইক্রোনেট এসপি৮৮৮ডি কেব্ল রাউটারের দাম তিন হাজার ৬০০ টাকা। সি-নেটের ডব্লিউএনআইআর৩৩০০ তারহীন এন রাউটারের দাম তিন হাজার ৭০০ টাকা। জাস্টেকের জেভিআর ৪১০০ডব্লিউএন মডেলের দাম দুই হাজার ১০০ টাকা। টেনডা ডব্লিউ৩১১আর রাউটারের দাম এক হাজার ৪৫০ টাকা, থ্রিজি ১৫০এম রাউটারের দাম দুই হাজার ৩০০ টাকা। গেটনেটের জিআর-৫৩৪ডব্লিউ ব্রডব্যান্ড রাউটারের দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা। 
প্রাপ্তিস্থান
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিসিএস কম্পিউটার সিটি, ইস্টার্ন প্লাজা, এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার; চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, জিইসি; খুলনার খান-এ-সবুর রোড এবং সিলেটের বন্দরবাজার এলাকার বিভিন্ন কম্পিউটার বিক্রয়কেন্দ্র ও পরিবেশকের কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় রাউটার


দেয়ালের ওপাশের ছবি উঠছে মুঠোফোনে!

দেয়ালের ওপাশে বা আড়ালে কি ঘটছে তা দেখার জন্য মুঠোফোনই যথেষ্ট হবে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, দেয়ালের ওপাশে কী ঘটছে তা দেখার জন্য সাই-ফাই চলচ্চিত্রের সুপারম্যান হওয়ার আর প্রয়োজন পড়বে না। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট পিসি ওয়ার্ল্ডের সাম্প্রতিক এক খবরে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই সুপারম্যানের মতো এক্স-রে রশ্মির দৃষ্টি দিয়ে দেয়ালের ওপাশে কী আছে, তা দেখা সম্ভব হবে, ছবি তোলা যাবে বা ভিডিও ধারণ করা যাবে!
ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা সম্প্রতি পুরু দেয়ালের ওপাশের তথ্য জানার জন্য একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যাতে ওয়াই-ফাইয়ের সাহায্য নিয়েছেন তাঁরা। দেয়ালের ওপাশের চলমান কোনো বস্তুকে শনাক্ত করতে ওয়াই-ফাই ব্যবহারে তৈরি এ পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন ‘ওয়াই-ভাই’।
গবেষক ডিনা কাটাবি ‘ওয়াই-ভাই’ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এ পদ্ধতি স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যাবে। এটি বিশেষ ধরনের ওয়্যারলেস সিস্টেম যাতে দেয়ালের ওপাশের কোনো চলমান বস্তুকেও শনাক্ত করা যায়। এ প্রক্রিয়ায় ওয়াই-ফাই বেতার তরঙ্গ পরিমাপ করে দেয়ালের ওপাশের কোনো বস্তুর কম রেজুলেশনে ছবি তোলা সম্ভব।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, ওয়াই-ভাই পদ্ধতিতে খুব কম রেজুলেশনে তথ্য ধারণ করা হয় বলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের আশঙ্কা কম। তবে এর উন্নয়নকাজ অব্যহত রয়েছে। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগেভাগেই নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন।
এর আগে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা মোবাইল ফোনের সাহায্যে দেয়াল ভেদ করে ছবি তোলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সফলতা পাওয়ার দাবি করেছিলেন। ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম ও  কনজুমার গ্রেড মাইক্রোচিপ উদ্ভাবনের কথা জানিয়েছিলেন গবেষকেরা। ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম প্রযুক্তিতে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশ্লেষণ করে টেরাহার্টজ ব্যান্ড তৈরি করেন গবেষকেরা। টেরাহার্টজ ব্যান্ড মাইক্রোওয়েভ ও ইনফ্রারেড রশ্মির মাঝামাঝি একটা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, যা এক্স-রে রশ্মির মতো কাজ করে এবং বস্তু ভেদ করতে পারে। টেরাহার্টজ তরঙ্গদৈর্ঘ্য যখন মোবাইল ফোনে এসে পৌঁছায়, তখন কমপ্লিমেন্টারি মেটাল-অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর (সিএমওএস) সেন্সর সে সংকেত ধরতে পারে এবং ছবি তুলতে পারে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে সিএমওএস সেন্সর সহজলভ্য। এই সেন্সর এখন ছোটো আকারের অনেক ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়। মোবাইলে সিএমওএস সেন্সর ব্যবহার করায় খরচও কমে যাবে।

সিডি ডিভিডি আর ব্লু-রে

রযুক্তির দুনিয়াটা এমনই যে আজ যা নতুন কালই তা পুরোনো। প্রযুক্তির কল্যাণেই একের পর এক এই পরিবর্তন। তথ্য সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে একসময় ফ্লপি ডিস্কের খুব প্রচলন ছিল। এখন ফ্লপির যুগ শেষ। সিডির পর এল ডিভিডি। এখন এগিয়ে যাচ্ছে ব্লু-রে ডিস্ক। কারণএকটিই কম জায়গায় বেশি তথ্য বা ডেটা ধারণ।প্রযুক্তির ছোঁয়ায় একদিন এসবও হারিয়ে যাবে, নতুন কিছু দিয়ে কাজ করবে মানুষ। হারিয়ে যাওয়ার আগেই তথ্য সংরক্ষণে ডিস্ক প্রযুক্তির বিভিন্ন ধরন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সিডিএকসময় গান শোনার প্রধান মাধ্যম ছিল গ্রামোফোন বা কলের গান। একদিন দেখা গেল, গবেষক আর প্রকৌশলীদের পাল্লায় পড়ে সেই গোল থালা বা চাকতির আকার অনেক ছোট হয়ে এসেছে। পরিবর্তিত হয়ে যার নাম হয়েছে সিডি বা কমপ্যাক্ট ডিস্ক। সিডি হচ্ছে লেজার-ডিস্ক প্রযুক্তির একটি উদ্ভাবন। এটি অপটিক্যাল ডিস্ক, যা ডিজিটাল তথ্য যেমন লেখা, ছবি, ভিডিও, গানসহ বিভিন্ন রকমের ডেটা সংরক্ষণে ব্যবহূত হয়ে থাকে। প্রথমদিকে এটি, বিশেষ করে শব্দ ধারণ করতে ব্যবহার করা হতো। সিডির তথ্য পাঠ করার জন্য ইনফ্রারেড লেজার ব্যবহূত হয়, যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৭৮০ ন্যানোমিটার। সিডির এখন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও অনেক দেশেই জনপ্রিয়তার তালিকায় এখনো নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এই বহনযোগ্য মাধ্যমটি। সিডি প্রথম বাজারে আসে সনি ও ফিলিপসের যৌথ প্রচেষ্টায়, ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে। একটি সিডি ৭০০ মেগাবাইট ডেটা ধারণ করতে পারে, যা ৮০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। এটি প্রি-রেকর্ডেড, রেকর্ডেবল ও রিরাইটেবল—তিন ধরনের হয়ে থাকে। সিডি সাধারণত পলিকার্বনেট প্লাস্টিকের তৈরি এবং প্রায় ১৫ থেকে ২০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে। সিডি আকারে প্রথমবারের মতো অডিও অ্যালবামটি বাজারে এসেছিল, সেটি ছিল বিখ্যাত ব্যান্ড দল অ্যাবার অ্যালবাম দ্য ভিজিটরস।

ডিভিডি
তথ্য সংরক্ষণের আরেকটি জনপ্রিয় ফরম্যাট হলো ডিভিডি।
সনি ও ফিলিপসের সঙ্গে জাপানের তোশিবা যুক্ত হয়ে কমপ্যাক্ট ডিস্কের আধুনিক সংস্করণ ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক বা ডিভিডি প্রযুক্তির উন্মেষ ঘটায় নব্বইয়ের দশকের শুরুতে। আধুনিক ডিজিটাল যুগের অনেক বেশি তথ্য রাখার চাহিদা থেকে এর সৃষ্টি। ডিভিডি প্রযুক্তি বাজারে আসার পর ভিডিওচিত্র সংরক্ষণ ও ভিডিও ছবি দেখার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। ভিডিও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এর বহুবিধ ব্যবহারের জন্য ডিভিডিকে অনেকে ডিজিটাল ভার্সেটাইল ডিস্ক হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন। একক স্তর বা লেয়ার-বিশিষ্ট এই ডিস্কের ধারণক্ষমতা সাধারণত ৪ দশমিক ৭ গিগাবাইট (১০২৪ মেগাবাইট = ১ গিগাবাইট)। দ্বৈত স্তরের ক্ষেত্রে এই ধারণক্ষমতা হয় ৮ দশমিক ৫৪ গিগাবাইট। একটি ৪ দশমিক ৭ গিগাবাইটের ডিভিডিতে একটি সিডির প্রায় ছয় গুণ বেশি তথ্য রাখা যায়। ডিভিডির লেজার হিসেবে ৬৫০ ন্যানোমিটারের লাল বর্ণের তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে চলচ্চিত্র দেখার জন্য ডিভিডির ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। ডিভিডি উপভোগ করার জন্য দরকার ৭২০ x ৫৭৬ রেজ্যুলেশনের টিভি বা পর্দা।

ব্লু-রে ডিস্ক
ব্লু-রে ডিস্ক শুধু বিডি বা ব্লু-রে নামেও পরিচিত। ডিভিডি বা সিডির মতো ব্লু-রে ডিস্কের রয়েছে একই মানের আকার। এর প্রধান ব্যবহার হচ্ছে হাইডেফিনিশন ভিডিও, প্লেস্টেশন-৩ ভিডিও গেম এবং অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণে। প্রতিটি একক লেয়ার-বিশিষ্ট ব্লু-রে ডিস্ক ২৫ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধারণ করতে পারে। অন্যদিকে, দ্বৈত লেয়ারের ক্ষেত্রে এই ধারণক্ষমতা হয় ৫০ গিগাবাইট। ব্লু-রে ডিস্ক নামটি এসেছে এই ডিস্কে ব্যবহূত নীল-বেগুনি লেজারের (ব্লু-ভায়োলেট লেজার) নামানুসারে। ব্লু-রে ডিস্কের তথ্য পাঠ করতে এই লেজার ব্যবহূত হয়। ব্লু-রে ডিস্কে ব্যবহূত লেজারের তরঙ্গদৈর্ঘ্য তুলনামূলক ছোট, প্রায় ৪০৫ ন্যানোমিটার। এ কারণে প্রচলিত ডিভিডির থেকে এটি প্রায় ১০ গুণ বেশি তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। তবে ব্লু-রের জন্য দরকার ন্যূনতম ২৪ ইঞ্চি মনিটর অথবা টিভি, যা সাপোর্ট করে সম্পূর্ণ এইচডি কনটেন্ট। বর্তমানে বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স, পার্সোনাল কম্পিউটার, রেকর্ডিং মিডিয়া, ভিডিও গেম, মিউজিক কোম্পানিসহ প্রধান প্রধান শীর্ষস্থানীয় মুভি স্টুডিওগুলোও এই ফরম্যাটকে সমর্থন করছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আটটি মুভি স্টুডিওর মধ্যে সাতটি মুভি স্টুডিও যেমন ডিজনি, ফক্স, ওয়ার্নার, প্যারামাউন্ট, সনি, লায়নগেট ও এমজিএম তাদের সাম্প্রতিক মুভি ব্লু-রে ফরম্যাটে প্রকাশ করছে।

আসছে দ্রুতগতির ইউএসবি ৩.১

পরবর্তী প্রজন্মের ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস বা ইউএসবি যন্ত্রগুলোর গতি হবে সেকেন্ডে ১০ গিগাবাইট। ইউএসবি উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কানেকটিভিটি বা সংযোগ মানদণ্ডের পরবর্তী প্রজন্মকে ৩.১ নাম দিয়েছেন তাঁরা। এরমধ্যেই এ প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ইউএসবি অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের অরিগনে ইউএসবি ৩.১ ডেভেলপার্স ডে আয়োজন করেছে ইউএসবি প্রচারণা সংস্থা। এ সময় নতুন প্রযুক্তিটির বিস্তারিত জানাবেন ইউএসবি সংস্থার গবেষকেরা। ইউএসবি ইমপ্লিমেন্টেশন নামের এ ফোরামটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের ৮০০ টি প্রতিষ্ঠান এর সদস্য।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, প্রচলিত ইউএসবি ৩.০ মানদণ্ডের চেয়ে ৩.১ প্রযুক্তিতে এ গতি দ্বিগুণ বেশি হবে। গতি বাড়ার পাশাপাশি ইউএসবি ৩.১-এ নতুন  বৈশিষ্ট্যও যোগ করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তি-সংবলিত তারগুলোর মধ্য দিয়ে এখন থেকে ১০০ ওয়াট বিদ্যুত্ সঞ্চালন করা সম্ভব হবে। তাতে টিভি কিংবা ডেস্কটপ পিসির মতো উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুত্ ব্যবহারকারী যন্ত্রে সংযুক্ত শনাক্ত করার উপযোগী ইউএসবি ক্যাবলের মাধ্যমে ল্যাপটপও চার্জ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ৩ দশমিক ৫ ইঞ্চির এক্সটার্নাল হার্ডডিস্কের জন্য বাড়তি বিদ্যুত্ সংযোগের প্রয়োজনীয়তাও ফুরাবে, তবে প্রচলিত ইউএসবি ৩.০ যন্ত্রগুলোকে ৩.১ এ হালনাগাদ করার সুযোগ থাকছে না।
গবেষকেরা আশা করছেন, ২০১৫ সাল নাগাদ ইউএসবি ৩.১ সহজলভ্য হবে ।
এদিকে, থান্ডারবোল্ট প্রযুক্তির নতুন সংস্করণ আনতে পারে ইনটেল যা ইউএসবির চেয়ে দ্রুতগতিতে তথ্য স্থানান্তর সুবিধা দিতে সক্ষম হবে। গবেষকেরা আশা করছেন, থান্ডারবোল্টের কাছাকাছি পর্যায়ে যেতে পারবে ইউএসবি ৩.১।

আসছে স্যামসাংয়ের স্মার্টওয়াচ

পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি সার্চ ইঞ্জিন গুগল, সনির পর এবার আগ্রহী হয়ে উঠেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। গুগল গ্লাস, সনির স্মার্টওয়াচের পাশাপাশি অ্যাপল ও স্যামসাং পরিধানযোগ্য পণ্য বাজারে আনবে, এমন আলোচনা অনেক দিন ধরেই চলছিল। এবার স্যামসাং নিজেদের স্মার্টওয়াচ আনার ঘোষণা দেওয়ায় সে খবরের সত্যতা মিলল।
সম্প্রতি গ্যালাক্সি ক্লাব নামের একটি ওয়েবসাইটে স্মার্টওয়াচের ট্রেডমার্ক-সংক্রান্ত একটি লেখা দেখে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়। এ তথ্য অনুযায়ী স্যামসাংয়ের স্মার্টওয়াচের নাম হতে পারে গ্যালাক্সি গিয়ার। তবে এটিই যে স্মার্টওয়াচ হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গ্যালাক্সি ক্লাব ওয়েবসাইটটি বলছে, এ নামে স্যামসাংয়ের অন্য কোনো যন্ত্রও বাজারে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে স্মার্টওয়াচ।
এর আগে গত মার্চেই স্যামসাং নিজেদের তৈরি পরিধানযোগ্য স্মার্টওয়াচ প্রস্তুত করার চেষ্টার কথা জানিয়েছিল। যন্ত্রটি গুগল অ্যান্ড্রয়েড সম্পূর্ণভাবে চালানো যাবে। হার্ডওয়্যার হিসেবে এতে স্যামসাং তাদের ফ্লেক্সিবেল অ্যামোলেড পর্দা প্রযুক্তি যুক্ত করতে পারে বলে জানা গেছে। ফলে এটি হবে একটি পরিধানযোগ্য যন্ত্র, যা একই সঙ্গে বড় পর্দার সুবিধা দিতে পারবে। বরাবরের মতো এ বিষয়েও স্যামসাং কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কিছু জানায়নি। স্যামসাং এমন যন্ত্র বাজারে আনলে অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেট ব্যবহারকারীরাই বেশি সুবিধা পাবে।
—সিনেট অবলম্বনে কাজী আলম

অ্যাপস কেনা যাবে বাংলাদেশি টাকায়

এবার বাংলাদেশি মুদ্রায় মোবাইল ফোনের অ্যাপস কেনা যাবে। এথিকস অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেডের (ইএটিএল) অ্যাপস স্টোর থেকে গ্রামীণফোনের গ্রাহকেরা অ্যাপস কিনতে পারবেন। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার গ্রামীণফোন কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশে মোবাইল অ্যাপসের বিকাশ ও বহুল ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলা ভাষায় অ্যাপস তৈরি বাড়াতে হবে।’
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সুদ বলেন, ‘সহজে অ্যাপস কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য এটি নতুন এক উদ্যোগ। আশা করছি তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি (থ্রিজি) ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাপসগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নতুন অভিজ্ঞতা দেবে।’
ইএটিএলের প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশি মুদ্রায় অ্যাপস কেনার এমন উদ্যোগ এই প্রথম বাংলাদেশে চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে অ্যাপস স্টোর থেকে গ্রাহকেরা বাংলা অ্যাপস কিনতে পারবেন।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা অ্যালেন বোনকেসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যাপসের নানা বিষয় ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান প্রথম আলোকে জানান, নতুন এই উদ্যোগের ফলে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা ইএটিএল অ্যাপস স্টোর (www.eatlapps.com) থেকে গ্রামীণফোনের সংযোগ ব্যবহার করে অ্যাপস কিনতে পারবেন।
শুরুতেই ৪০ টাকা সমমূল্যের বিভিন্ন গেমস নিজের ব্যালেন্সে থাকা টাকা দিয়েই কেনা যাবে। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য অ্যাপস কিনতে পারবেন গ্রাহকেরা। এ সুবিধার মাধ্যমে দেশিঅ্যাপস নির্মাতারাও লাভবান হবেন বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা।

উইন্ডোজ আটে হাইবারনেশন চালু

মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম চাইলে সহজেই হাইবারনেট অবস্থায় রাখা যায়। এ জন্য কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে পাওয়ার অপশন বা বাঁ দিকে নিচের কোনায় ডান ক্লিক করে পাওয়ার অপশন বা রান কমান্ডে powercfg.cpl লিখে এন্টার করুন। আবার সার্চবারের সার্চ অপশনে powercfg.cpl লিখলে যে প্রোগ্রাম আসবে, সেটিতেও ক্লিক করতে পারেন।পাওয়ার অপশনে গিয়ে বাঁ দিক থেকে ‘Choose what the power buttons do’ অপশনে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর ওপরের নীল লেখা ‘Change the settings that are currently unavailable’-এ ক্লিক করুন। এখন দেখবেন, নিচের ঝাপসা অংশটুকু স্বাভাবিক হয়ে গেছে। নিচের হাইবারনেট বক্সে ক্লিক করে সেভ চেঞ্জেস বোতামে ক্লিক করুন। এখন পাওয়ার মেনুতে ক্লিক করলে আপনি হাইবারনেট অপশন দেখতে পারবেন।

এটিএমের সবচেয়ে দুর্বল পিন

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা সবচেয়ে দুর্বল এটিএম পিন কোডের তথ্য প্রকাশ করেছেন। গবেষকদের মতে, সবচেয়ে সহজ আর জনপ্রিয় চার সংখ্যার এটিএম পিন হচ্ছে ১২৩৪। এ পিনকোড খুব সহজেই ভেঙে অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে দুর্বৃত্তরা।
গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, পিনকোড জটিল হওয়া প্রয়োজন। সহজে অনুমান করা যায় এমন পিনকোড ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি।
‘হাফিংটন পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাটা জেনেটিকস নামের একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা সবচেয়ে দুর্বল ১০টি এটিএম পিনকোডের তালিকা প্রকাশ করেছেন। ১০ হাজার সম্ভাব্য চার সংখ্যার এটিএম পিন গবেষণা করে তাঁরা দেখেছেন যে, শতকরা ১১ শতাংশ পিনকোডই সহজে অনুমান করা যায় এবং এ পিনকোড ভেঙে অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে দুর্বৃত্তরা।
গবেষকদের মতে সবচেয়ে দুর্বল পিনকোডগুলো হলো ১২৩৪, ১১১১, ০০০০, ১২১২, ৭৭৭৭, ১০০৪, ২০০০, ৪৪৪৪, ২২২২, ৬৯৬৯ ।
গবেষকদের মতে, এটিএম পিন হিসেবে ব্যবহূত মোট পাসওয়ার্ডের শতকরা ২০ শতাংশই এ ধরনের সহজ সংখ্যা মিলিয়ে তৈরি করা হয়।
গবেষকেরা বলেন, চার সংখ্যার যেসব পিন ১৯ দিয়ে শুরু হয় সেগুলোও বাজে পাসওয়ার্ড। কারণ, এ ধরনের পাসওয়ার্ড সহজে অনুমান করা যায়।
গবেষকেরা চার সংখ্যার পিনের ক্ষেত্রে ৮, ৯, ৬ বা ৭ দিয়ে শুরু করে তা জটিল করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ই-মেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

ইন্টারনেটে প্রতিদিন নানা দরকারে ইলেকট্রনিক বার্তা সেবা (ই-মেইল) ঘন ঘন ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় ই-মেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। অনেকেই জানে না, ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড কীভাবে ফিরে পাওয়া যায়। জনপ্রিয় সব ই-মেইল সেবার ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড ফিরে আনার ব্যবস্থা আছে।
ইয়াহু মেইলের জন্য: জনপ্রিয় মেইল সেবা ইয়াহুর ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড সহজেই ফিরে আনা যায় কিছু নিয়ম মেনে। https://edit.yahoo.com/forgotroot ঠিকানায় গিয়ে I have a problem with my password নির্বাচন করে Next চাপতে হবে। My Yahoo! ID is: এর ঘরে আপনার ই-মেইল পরিচিতি (আইডি) লিখে Type the code shown ঘরে সংকেতটি লিখে Next বোতাম চাপুন। সংকেত না মিললে পরের ঘরে যাবে না, তাই সঠিক সংকেত লিখে দিন। Send a message to my alternate email address ঘরে বিকল্প ই-মেইল ঠিকানা লিখে দিন। অথবা Use my secret questions নির্বাচন করে নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে Next চাপুন। খেয়াল করুন ই-মেইল ঠিকানা খোলার সময় যে বিকল্প (অলটারনেটিভ) ই-মেইল এবং নিরাপত্তা প্রশ্ন উল্লেখ করছেন, সেটি এখানে লিখে দিতে হবে। বিকল্প ই-মেইল ঠিকানা লিখলে ওই ঠিকানায় পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সংযোগ (লিঙ্ক) চলে যাবে। এবার উল্লিখিত মেইলে গিয়ে সেই সংযোগে ক্লিক করে নতুন পাসওয়ার্ড লিখে দিলে সেই পাসওয়ার্ড পরবর্তী লগইনের জন্য কাজ করবে।
জিমেইলের জন্য: www.google.com/ accounts/recovery ঠিকানায় গিয়ে I don¤t know my password নির্বাচন করে ই-মেইল ঘরে ই-মেইল ঠিকানা লিখে দিয়ে Continue বোতাম চাপুন। Confirm access to my recovery email ঘরে বিকল্প ই-মেইল লিখে দিয়ে আবার Continue চাপুন। উল্লিখিত বিকল্প মেইল ঠিকানায় পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধারের মেইল চলে যাবে। এখন সেই মেইলে পাওয়া সংযোগে (লিঙ্ক) ক্লিক করে নতুন পাসওয়ার্ড পরপর দুই ঘরে লিখে Reset Password চাপলে কাজটি সম্পন্ন হবে এবং পরবর্তী সময়ে লগইনের জন্য সেই পাসওয়ার্ড কাজ করবে। —মো. রাকিবুল হাসান

ইল্যান্স থেকে ছয় মাসে ১১ কোটি টাকা দেশে

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সে কাজ করে প্রায় ১১ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা।

বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে এক হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে অনলাইন মার্কেটপ্লেসের এ সাইটটিতে। ইল্যান্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা এই সাইটটিতে এখন কাজ পাচ্ছেন বেশি।

ইল্যান্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাত্ এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে ইল্যান্সে  সাত হাজারেরও বেশি নতুন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার যুক্ত হয়েছেন। চলতি বছরে ইল্যান্সে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কাজ পাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। ২০১২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় এ বছরের জুন মাসে ১৪৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ইল্যান্সে কাজ করেছেন এবং আয়ের পরিমাণও অনেক বেশি। এ বছরের বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইল্যান্সে পাঁচ হাজার ৬৫২টি কাজ করেছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা।
ইল্যান্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা আইটি, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিকস ও সফটওয়্যার বিভাগে তাদের দক্ষতা দেখিয়ে বেশি কাজ পাচ্ছেন। এ ছাড়াও  অ্যাডমিন সাপোর্ট ও বিপণনেও দেশি ফ্রিল্যান্সাররা দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সরা বেশির ভাগ কাজ পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সিঙ্গাপুর থেকে।
অনলাইনে কাজের শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম ইল্যান্স ২১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল অনলাইন এমপ্লয়মেন্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় ইল্যান্সে ব্যবসায়ের ওপর বিনয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।

অনলাইনে কাজ পেতে হলে

ঘরে বসে ইন্টারনেটে আয় বা অনলাইনে কাজ এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চাকরির চেয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নিয়ে অনেকেই এখন ঝুঁকছেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে।
গত কয়েক বছরে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং ক্ষেত্রটি দ্রুতগতিতে জনপ্রিয় হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টের এক জরিপে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে ২০০৮ সালের তুলনায় ১২ শতাংশ ফ্রিল্যান্সার বেড়েছে। জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইল্যান্স, ওডেস্ক ও ফ্রিল্যান্সার। জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ পোস্ট করার হারও বেড়েছে।
সম্প্রতি ইল্যান্সের এক জরিপে দেখা গেছে,  স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারায় ৯০ শতাংশ ফ্রিল্যান্সার নিজেকে সুখী মনে করেন এবং বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হওয়া স্বত্বেও অর্ধেকের বেশি ফ্রিল্যান্সার চিন্তিত নন।
ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে সফলতা দেখে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। অনেকে বলেন, অভিজ্ঞতা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় না। তবে দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা বলেন, অভিজ্ঞতা না থাকলেও  ফ্রিল্যান্সিং করা যায়; এক্ষেত্রে ইচ্ছা, পরিশ্রম ও ধৈর্য থাকতে হয়।
বাংলাদেশে ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন, দেশে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সম্ভাবনা অনেক। নতুন ও আগ্রহীদের জন্য বিশেষ পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

লক্ষ্য নির্ধারণ করা
লক্ষ্য নির্ধারণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজটি করতে চান বা আপনার কোন সেবা বিক্রি করতে চান সেটি আগে নির্ধারণ করতে হবে। অধিকাংশ মানুষ যে ভুলটি করে, তা হল অন্যরা কি করছে তা অনুসরণ করা। এ ক্ষেত্রে আপনার যে অভিজ্ঞতা আছে বা আপনার যে বিষয়টি ভালো লাগে সেটি নির্বাচন করা। আপনি যদি গণিতে ভাল হন, তাহলে আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রোগ্রামিং। আর যদি আঁঁকাআঁঁকি ভালো লাগে তাহলে আপনার জন্য গ্রাফিকস ডিজাইন সবচেয়ে সুবিধাজনক হবে। যদি লেখালেখি ভালো লাগে তাহলে লেখালেখিতেই ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। লিখতে পারেন ব্লগ, একাধিক ভাষা জানা থাকলে অনুবাদক হিসেবেও কাজ করতে পারেন। যদি ভালো গবেষণা করতে পারেন তবে গবেষক, পরিকল্পনাবিদ থেকে শুরু করে প্রযুক্তি দক্ষতার সব রকম কাজই পাবেন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে। কাজের দক্ষতাই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার চাবি।

ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করা
ফ্রিল্যান্সাররা প্রথমেই যে মূল সমস্যায় পড়েন তা হচ্ছে প্রোফাইল তৈরি। সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করে নিজেকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে উপস্থাপন করতে পারলে কাজ পাওয়া সহজ হয়ে যায়। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা ভাবেন যে, কাজের দক্ষতা অর্জনের পরেই কেবল প্রোফাইল তরি করা যায়। এটা একটি ভুল ধারণা। সুন্দর প্রোফাইল আগে তৈরি করা যেতে পারে তবে একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা অর্জন করার আগে কাজে বিড করা উচিত নয়। এজন্য আগে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে হবে।
যাঁরা নতুন তাঁদের অনেকের প্রশ্ন থাকে কোথায়, কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে কাজ শুরুর আগে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কী ধরনের কাজ হয় তা পর্যবেক্ষণ করা। অ্যাকাউন্ট খোলা, সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করা। নিজের কাজের স্যাম্পল তৈরি করা। পরীক্ষা দিয়ে নিজের দক্ষতা যাচাই করা। কাজের জন্য ইল্যান্স, ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সারের মতো পরিচিত সাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আগে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করুন পাশাপাশি আপনার দক্ষতার কাজগুলোকে সাইটের কাজের বর্ণনার সঙ্গে মিলিয়ে অনুশীলন করুন। দক্ষতা না থাকলে শুরুতেই কাজ পাওয়ার জন্য বিড করবেন না। কাজে দক্ষ হয়ে তবে বিড করুন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য এখন কয়েকটি বিষয় খুব জরুরি। সাবলীল ইংরেজি বলা, লেখা ও ইংরেজি বোঝা। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকাও দরকার। স্কাইপ ব্যবহার জানতে হবে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকা সবার আগে দরকার।

প্রোফাইল তৈরির নিয়মকানুন
প্রোফাইল তৈরিতে দক্ষতা ও কাজের বর্ণনা দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন। ইউটিউবে দেখে নিতে পারেন আপনার প্রোফাইল সাজানোর টিউটোরিয়াল। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী, সেটিকে তুলে ধরতে চেষ্টা করুন। প্রোফাইল সুন্দরভাবে গোছান, শতভাগ প্রোফাইল সম্পূর্ণ করুন। ফ্রিল্যান্সার সাইটগুলোতে কাজ শুরু করার আগে আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী, সেই বিষয়গুলোতে পরীক্ষা দিন এবং ভালো ফল করতে চেষ্টা করুন। যে বিষয়ে পরীক্ষা দেবেন, সে বিষয়ে আগে কিছু পড়াশোনা করে তবে পরীক্ষা দিন। আপনার কাজের নমুনা বা স্যাম্পল তৈরি করে প্রোফাইলে যুক্ত করুন। আপনার নমুনা কাজগুলো বায়ারকে আকৃষ্ট করতে পারে আর আপনাকে কাঙ্ক্ষিত কাজটি এনে দিতে পারে।
প্রোফাইল তৈরির সময় খেয়াল রাখবেন যে, আপনি একজন পেশাদার হিসেবে এখানে কাজ করবেন। আপনার অদক্ষতা যেমন আপনার জন্য বায়ারের কাছ থেকে খারাপ ফিডব্যাক দেবে তেমনি দেশের অন্য ফ্রিল্যান্সারদের সম্পর্কেও নেতিবাচক ধারণা দেবে। তাই প্রোফাইলে সব সময় সঠিক তথ্য দেওয়া উচিত্।
প্রোফাইল তৈরি সম্পূর্ণ হলে  এবং কাজের দক্ষতা নিয়ে আত্মবিশ্বাস থাকলে আপনি কাজ পাওয়ার আবেদন করার জন্য প্রস্তুত।

দেশে ভুয়া ‘লাইক’ দৌরাত্ম্য

বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ভুয়া লাইক করা হচ্ছে। সম্প্রতি ‘গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বল্প আয়ের কর্মী ও ফ্রিল্যান্সাররা একেবারে কম খরচে ভুয়া লাইক বাড়ানোর কাজ করছেন।
বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে ভুয়া লাইক জোগানদাতা ‘ক্লিক ফার্ম’। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে কোনো ব্র্যান্ডকে জনপ্রিয় করার কাজ নিচ্ছে একেবারে স্বল্প মূল্যে।
‘গার্ডিয়ান’-এর অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুয়া এসব ফেসবুক লাইকের কারণে ভোক্তারা কোনো ব্র্যান্ড সম্পর্কে ভুল ধারণা পান।
‘গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুয়া লাইক বাড়ানোর কাজ করছেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ক্লিক ফার্মের বেশ কয়েকজন কর্মী। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি এক হাজার লাইক জোগান দিতে মাত্র ১৫ মার্কিন ডলার দাবি করা হয়। অথচ, এসব ক্লিক ফার্মে যেসব সাধারণ কর্মী কাজ করছেন, তাঁদের আয় খুবই কম। লাইক বাড়ানোর কাজ যাঁরা করেন, তাঁরা ছোট একটি ঘরের ছোট একটি মনিটরের সামনে বসে দিন-রাত কাজ করেন। মাত্র এক ডলার আয়ের জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করেন তাঁরা।
যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোরের ডিসপ্যাচেস অনুষ্ঠানে ভুয়া ফেসবুকে লাইকের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ভুয়া লাইকের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ফেসবুক ও গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা। কারণ, একেবারেই কম খরচে অপরিচিত ব্র্যান্ডকে বিশাল লাইক এনে দিতে কাজ করছেন স্বল্প আয়ের কর্মীরা।
কম্পিউটার নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান সফোসের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ গ্রাহাম ক্লুলেই জানিয়েছেন, অনেক প্রতিষ্ঠানের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগ্রহ থাকে। এর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ে ও ক্রেতা জুটে যায়। সামাজিক যোগাযোগনির্ভর অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ভুয়া লাইকের কারণে প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে। জনপ্রিয়তার দিক থেকে পণ্যের মান ভালো হলেও সামাজিক যোগাযোগের লাইকের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে।
লাইকের গুরুত্ব
ফেসবুকে লাইকের গুরুত্ব রয়েছে। ক্রেতাদের প্রভাবিত করতে লাইক গুরুত্বপূর্ণ। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩১ শতাংশ ক্রেতা কোনো পণ্য কেনার আগে পণ্যটির রেটিং, রিভিউ, ফেসবুক লাইক, টুইটার ফলোয়ার ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নেন। অর্থাত্, ক্লিক ফার্মগুলো ক্রেতাদের ভুল ধারণা দিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে।
ডিসপ্যাচেস প্রোগ্রামে বাংলাদেশে ভুয়া লাইক তৈরির ক্ষেত্রে ‘ফেসবুকের রাজা’ নামে একজনের পরিচিতি তুলে ধরা হয়, যিনি ফেসবুকে অসংখ্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে হাজার হাজার ভুয়া লাইক জোগানোর জন্য এ খ্যাতি পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের আইনজীবী স্যাম ডি সিলভা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ভুয়া লাইক বাড়ানোর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি আইন ভাঙা হচ্ছে। এতে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে।
শেয়ারইট ডটকম
‘গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, ঢাকা থেকে নিবন্ধনকৃত শেয়ারইট ডটকম নামের একটি সাইট ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, লিঙ্কডইন ও ইউটিউবে লাইক বাড়ানোর ক্ষেত্রে দালালির ভূমিকা রাখছে। এ সাইট থেকে বিনা মূল্যেই ফেসবুকে লাইক বাড়ানো ও সার্চ ইঞ্জিনের র্যাঙ্কিং বাড়ানোর অফার দেওয়া হচ্ছে।
ক্রাউডসোর্সিং-ভিত্তিক এ সাইটটি থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ ফেসবুক লাইক বাড়িয়েছে এবং এ সাইটটির ৮৩ হাজার নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছেন।
শেয়ারইটের মালিক সারফ আল-নোমানি ডিসপ্যাচেসকে জানিয়েছেন, এ সাইটটি থেকে যত ক্লিক করা হয় তার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বাংলাদেশ থেকে আসে। অর্থাত্, ২৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মী লাইক বাড়ানোর এই কাজ করছেন। শুধু তা-ই নয়, অনেক প্রতিষ্ঠানও শেয়ারইটকে লাইক বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করছে।
অবশ্য ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, লাইক জোগানোর দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রথম স্থানটি মিসরের রাজধানী কায়রোর।
দায়ী কে?
নব্বইয়ের দশক থেকেই ইন্টারনেটের ভুয়া বিজ্ঞাপন এ শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে রয়েছে। পিপিসি বা পে পার ক্লিক নামে ক্লিক করে আয় বা বিজ্ঞাপন দেখে আয়ের ধারণা ভুয়া বিজ্ঞাপন আরও বাড়িয়েছে। এর ফলে তৈরি হয়েছে অনেক ভুয়া বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, যারা প্রতারণা করে চলেছে প্রতিনিয়ত। এ সমস্যা এখনো রয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাইক্রোসফট ও কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিমানটেক মিলে বিশ্বজুড়ে ১৮ লাখ কম্পিউটারে যুক্ত থাকা একটি বটনেট সরিয়ে ফেলেছে। মাইক্রোসফটের দাবি, এ বটনেট প্রতিদিন ৩০ লাখ ক্লিক করতে ব্যবহার করা হতো। অবশ্য মাইক্রোসফট ও সিমানটেকের গবেষকেরা বটনেট সরিয়ে ফেললেও ক্লিক ফার্মগুলো এখন ভিন্ন পন্থা বেছে নিয়েছে। সস্তা শ্রমের বাজার হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়ে ক্লিক করার কাজ করিয়ে নিচ্ছে।
ডিসপ্যাচেসের শনাক্ত করা একটি ক্লিক ফার্মের ব্যবস্থাপক রাসেল এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি যে কাজ করেন তা বৈধ জেনেই করেন। ভুয়া লাইক বাড়ানোর কাজ যাঁরা দেন, তাঁদের দোষারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে ব্র্যান্ডের প্রচারণার কাজ করছেন ফ্রিল্যান্সার আলী আসগর। অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ইন্টারনেট মার্কেটিং বিভাগে বিশ্বসেরা ছিলেন তিনি। প্রথম আলো ডটকমকে তিনি জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে কোনো ব্র্যান্ডের প্রচারণার কাজ এখন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এখন মাত্র এক থেকে দুই ডলার খরচেই হাজার লাইক জোগান দেওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সার সাইটগুলোতে বিড করা হয়। ফলে, যাঁরা সত্যিকারের ফ্রিল্যান্সিং করেন, অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাঁদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
আলী আসগর বলেন, বাংলাদেশে ভুয়া ফেসবুক লাইক তৈরিতে কাজ করছেন অনেক ফ্রিল্যান্সার। সত্যিকারের লাইক বাড়াতে কষ্টকর প্রচারণা চালাতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার এখন ভুয়া লাইক বাড়ানোর সফটওয়্যার ব্যবহার করে একেবারে কম খরচে কাজ করে দেন। এ ধরনের লাইক প্রতারণার ফলে কাজদাতারা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের ওপর বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। পাশাপাশি লাইক বাড়ানোর কাজের জন্য একেবারে কম দাম অফার করছে।
আলী আসগরের মতে, কোনো ব্র্যান্ডকে জনপ্রিয় করতে সামাজিক যোগাযোগের সাইটে যে পরিশ্রম করতে হয়, তার জন্য অনেক বেশি শ্রমমূল্য হওয়া উচিত। কিন্তু ভুয়া লাইকের দৌরাত্ম্য বিশ্ববাজারে সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি এখন এ ধরনের কাজ হারাতে বসেছেন অনেক দক্ষ ফ্রিল্যান্সার।

প্রোফাইল তৈরির পরামর্শ

অনলাইনে পেশাদার কাজ করতে সবার আগে প্রয়োজন সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি। অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত ইল্যান্স, ওডেস্ক ও ফ্রিল্যান্সারে সুন্দর ও সম্পূর্ণ প্রোফাইল কাজ পাওয়ার একটি পূর্বশর্ত। দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারা তাই সব সময়ই সুন্দর ও পেশাদার প্রোফাইল তৈরির পরামর্শ দেন।

 



পরামর্শ
১. প্রোফাইল তৈরিতে দক্ষতা ও কাজের বর্ণনা দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন। ইউটিউবে দেখে নিতে পারেন আপনার প্রোফাইল সাজানোর টিউটোরিয়াল।

২. আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী, সেটিকে তুলে ধরতে চেষ্টা করুন।

৩. প্রোফাইল সুন্দরভাবে গোছান, শতভাগ প্রোফাইল সম্পূর্ণ করুন।

৪. ফ্রিল্যান্সার সাইটগুলোতে কাজ শুরু করার আগে আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী, সেই বিষয়গুলোতে পরীক্ষা দিন এবং ভালো ফল করতে চেষ্টা করুন। যে বিষয়ে পরীক্ষা দেবেন, সে বিষয়ে আগে কিছু পড়াশোনা করে তবে পরীক্ষা দিন।

৫. আপনার কাজের নমুনা বা স্যাম্পল তৈরি করে প্রোফাইলে যুক্ত করুন। আপনার নমুনা কাজগুলো বায়ারকে আকৃষ্ট করতে পারে আর আপনাকে কাঙ্ক্ষিত কাজটি এনে দিতে পারে।

পুরস্কার পেলেন ১০ ফ্রিল্যান্সার

নিজের ফ্রিল্যান্সার জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে গল্প লিখে পুরস্কার জিতেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১০ জন ফ্রিল্যান্সার। ‘আমার ফ্রিল্যান্সিং জীবন’ নামে একটি প্রতিযোগিতার অংশ নিয়ে এ পুরস্কার পেয়েছেন তাঁরা। এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল প্রিয় ডটকম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বেসিস মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজয়ী ১০ জন ফ্রিল্যান্সারকে পুরস্কৃত করেছে প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা। বিজয়ীরা হচ্ছেন-শামীম আহমেদ শাহ, নাজমুল হাসান রূপক, শাহনাজ নিপা, ইসমাইল হোসেন, রাসেল আহমেদ, গোলাম মাওলা, প্রকাশ সরকার, তাজমুল হোসেন বাপ্পা, প্রণব ভট্টাচার্য, রাসেল মিয়া। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীরা পেয়েছেন ল্যাপটপ, এলইডি মনিটর, ডিজিটাল ক্যামেরাসহ ১০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার।

অনলাইনে স্বল্প সময়ে সহজ আয়

বিশ্বজুড়ে শ্রমবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে ইন্টারনেটে শ্রম বিনিময় ও অনলাইনে কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। স্বল্প সময়ে সহজে আয়ের সুযোগ থাকাতেই ইল্যান্স, ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার নামে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে বাংলাদেশের তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে আর তাঁরা কাজও করে যাচ্ছেন সমান দক্ষতায়।
স্বল্প সময়ে কম পারিশ্রমিকে জটিল কাজের সমাধান দিচ্ছেন ফ্রিল্যান্সাররা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলো থেকে আসছে নানা কাজ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজের অর্ডার দিয়ে দক্ষ শ্রমিক বাছাই করে স্বল্প সময়ে, কম পারিশ্রমিকে কাজ করিয়ে নিচ্ছে।
কিন্তু একটা সময় ছিল যখন কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বাদে কাজ করিয়ে নেওয়া সম্ভবই ছিল না। বর্তমানে অনলাইনে ক্লাউড পদ্ধতিতে খুব সহজেই বিশ্বের নানা প্রান্তের দক্ষ পেশাজীবীদের দিয়ে কম পারিশ্রমিকে কাজ করিয়ে নিতে পারছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অনলাইনের এ শ্রমশক্তি নিয়ে সম্প্রতি ইকোনোমিস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পারিশ্রমিক ও প্রতিযোগিতাই বাড়িয়েছে জনপ্রিয়তা
খুব কম সময়ের নোটিশে ২২ মিনিটের একটি ভিডিও ইংরেজি থেকে স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ করে দেওয়ার অর্ডার দিয়ে একটি কাজের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল ওয়েবসাইটে। কাজের জন্য বাজেট ধরা হয়েছিল এক হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসের জনপ্রিয় দুটি সাইট ইল্যান্স ডটকম ও ওডেস্ক ডটকমে । এর বিপরীতে ইল্যান্সে ২৫ টি বিড জমা পড়েছিল। অর্থাত্, ২৫ জন ফ্রিল্যান্সার ইল্যান্সে ওই কাজটির পাবার জন্য আবেদন করেন। ১৫ টি দেশের এই ২৫ জন ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ছিলেন নতুন ফ্রিল্যান্সার। ঘণ্টাপ্রতি কাজের ক্ষেত্রে যে পারিশ্রমিক চাওয়া হয়েছিল দেশ ভেদে তার ভিন্নতা ছিল। এ ক্ষেত্রে কোনো ফ্রিল্যান্সার ঘণ্টাপ্রতি ১৬ ডলার আবেদন করেছিলেন আবার কেউ বা কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন ঘণ্টাপ্রতি ৩২ ডলার । কাজের অভিজ্ঞতা ও অঞ্চলভেদে এ পারিশ্রমিকের তারতম্য, দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণেই অনলাইনভিত্তিক মার্কেটপ্লেসগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

বিস্তৃত হয়েছে শ্রমবাজার
২০১২ সালে অনলাইন শ্রম বাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৪ সাল নাগাদ অনলাইন এ শ্রম বাজার দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ২০১৮ সাল নাগাদ অনলাইন শ্রমশক্তির বাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলেই মার্কিন বাজার গবেষকেরা ধারণা করছেন। 

প্রতিদ্বন্দ্বী ওডেস্ক ও ইল্যান্স

অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে সেরা প্রতিষ্ঠানের দাবি করে ওডেস্ক ও ইল্যান্স। ২০১২ সালে তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি সাইটে পাঁচ লাখেরও বেশি কাজ পোস্ট হয়েছে। ২০১২ সাল নাগাদ ওডেস্কে ৩০ লাখ ও ইল্যান্সে ২৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ পাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তবে ওডেস্ক ও ইল্যান্স নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী দাবি করলেও অর্থ ব্যয়ের হিসাবে ইল্যান্সের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ওডেস্ক। ওডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে শুধু ওডেস্কে সাড়ে তিন কোটি ঘণ্টা কাজ হয়েছে।
ইল্যান্সের প্রধান নির্বাহী ফাবিও রোসাটি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, উচ্চ পর্যায়ের ফ্রিল্যান্স কাজের বাজার নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী ইল্যান্স, আর তাই ইবে এবং ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমন সাধারণ পর্যায়ের কাজ করার কোনো চুক্তি করা হয় না। এর বিপরীত মত নিয়ে ওডেস্কের প্রধান নির্বাহী গ্যারি সোয়ারট বলেন, বড় আকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা সৃজনশীলভাবে মেটাতে পারে বলেই ওডেস্কের অগ্রগতি বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে তৃতীয় অবস্থান হিসেবে ফ্রিল্যান্সার সাইটটিকে ধরা হয়। নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের হিসেবে এ সাইটটি অবশ্য শীর্ষে। এ সাইটটিতে ৭০ লাখ নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তবে সাইটটিতে কাজের পারিশ্রমিক কম হওয়ায় এটি পিছিয়ে পড়ছে। ওডেস্ক, ইল্যান্স, ফ্রিল্যান্সার ছাড়াও নতুন নতুন আরও বেশ কিছু সাইট দ্রুত অনলাইনে সামনে চলে আসছে।

ব্যবসার কৌশল
শ্রমবাজার তৈরি ও ব্যবসা কৌশলের ক্ষেত্রেও অনলাইনের এ সাইটগুলো আলাদা। প্রতিটি কাজ সম্পন্ন হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি কেটে রাখে সাইটগুলো। পাশাপাশি কাজদাতা ও কর্মীর মধ্যে রেটিং, ফিডব্যাক পদ্ধতি যুক্ত করে কাজদাতা ও কর্মীর প্রোফাইলও সমৃদ্ধ করে। তবে পারিশ্রমিক নির্ধারণ ও পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছে ওডেস্ক।

দক্ষতাই কাজ পাওয়ার একমাত্র উপায়
অনলাইন শ্রমবাজারে কাজ করে অনেকেই নিজের প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন। এ ধরনের ফ্রিল্যান্সারদের এখন উদ্যোক্তা বলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এমনকি বাংলাদেশেও গড়ে উঠেছে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান। তবে বিশ্ব শ্রমশক্তি বিবর্তনের ক্ষেত্রে অনলাইনের এ শ্রম বিনিময় কী পরিবর্তন আনছে তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান অ্যাসেঞ্চারের মতে, অনলাইন শ্রমবাজারে কর্মী দ্রুত বাড়ছে। এ বাজার এখন ক্রমশ বাড়ছে। এ বাজারে কাজ করতে গেলে সবচেয়ে বেশি দক্ষতা থাকতে হবে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। ২০১২ সালে ওডেস্ক ও ইল্যান্সে সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছেন ওয়েব প্রোগ্রামিং ও মোবাইল অ্যাপ তৈরিতে দক্ষ কর্মীরা। তবে কাজের অন্যান্য ক্ষেত্র দ্রুত বাড়ছে। ২০০৭ সালে মূলত চারটি বিভাগে কাজ পেতেন কর্মীরা। ২০১২ সালে এসে ৩৫ টিরও বেশি বিভাগে কাজ পাচ্ছেন তাঁরা।  প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, অনুবাদ-ভাষান্তর, কপি তৈরি করার কাজগুলো দ্রুত বাড়ছে।



পারিশ্রমিক বৈষম্য
অনলাইনে দক্ষ কর্মী বাছাই করে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে কাজ দেওয়ার সুবিধা পান কাজদাতা। কাজ ঠিকভাবে সম্পন্ন হলে কাজদাতা ও কর্মী পরস্পরকে মূল্যায়নের সুবিধা পান। যা তাঁদের অভিজ্ঞতা হিসেবে প্রোফাইলে যুক্ত হয়। পরবর্তী কাজ পেতেও যা সহায়ক হয়। তবে অনলাইন শ্রম বাজারের পারিশ্রমিক বৈষম্য নিয়ে সমালোচনাও নেহাত কম নয়। কম পারিশ্রমিকে উন্নত দেশের বায়াররা উন্নয়নশীল দেশগুলোর ফ্রিল্যান্সারদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। তবে ইল্যান্স ও ওডেস্ক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করে। তাদের মতে, কাজ শুধু একমুখী নয়। অর্থাত্ উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকেও এসব সাইটে কাজ পোস্ট করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিল্যান্সাররাও আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।

অভিজ্ঞতা পারিশ্রমিক বাড়ায়
অনেকে ফ্রিল্যান্সার কম পারিশ্রমিকে কাজ শুরু করলেও এক বছরের মধ্যেই আবার তার কাজের ধরন অনুসারে পারিশ্রমিক বাড়িয়ে নিচ্ছেন। এক বছরের অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে গড়ে শতকরা ৬০ শতাংশ হারে পারিশ্রমিক বাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে যা তিন বছরে ১৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

অনলাইন শ্রমবাজারই ভবিষ্যৎ
অ্যাসেঞ্চারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাজদাতাকে শুধু স্থায়ী কর্মী নিয়োগ দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়াটা ঠিক হবে না বরং হাতের নাগালে থাকা অসংখ্য দক্ষ ভারচুয়াল কর্মীকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার সুযোগের কথাও ভাবতে হবে।

ইল্যান্সে দেশের ফ্রিল্যান্সার ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে

ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করছেন দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবী। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ইল্যান্সে বাংলাদেশের মুক্ত পেশাজীবীর সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ইল্যান্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ইল্যান্সে ৪০ হাজারের বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ইল্যান্স ২০১২ সালের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। ২০১২ সালের শেষ নাগাদ এ সাইটটিতে দেশি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার। গত চার মাসে বাংলাদেশ থেকে ইল্যান্সে নিবন্ধন করেছেন প্রায় ১০ হাজার ফ্রিল্যান্সার।
বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে কাজের বাজার বাড়ছে এবং দ্রুত দক্ষ ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও বাড়ছে বলে প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান।
ইল্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ব্যবহারকারীর সংখ্যাই নয়, বৃদ্ধি পাচ্ছে উপার্জনকারী ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও। ২০১৩ সালের প্রথম তিন মাসেই বাংলাদেশ থেকে ইল্যান্সে কাজ পেয়েছেন এক হাজার ৮২৪ জন ফ্রিল্যান্সার, যাঁদের মধ্যে ৬০০ জন ছিলেন ইল্যান্সে একদম নতুন, যাঁরা আগে কখনো ইল্যান্সে কোনো কাজ করেননি। ২০১৩ সালের প্রথম তিন মাসেই চার হাজার ২৬৭টি কাজে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার।

কাজ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাজদাতারা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ দিচ্ছেন। ইল্যান্সে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা সবচেয়ে বেশি কাজ পাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের কাজদাতার কাছ থেকে। এর পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম সাতটি দেশের মধ্যে অন্য স্থানগুলোতে আছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস।
 সেরা দক্ষতা

বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত আইটি বা তথ্যপ্রযুক্তি  বিভাগে কাজ পাওয়া ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশ থেকে ইল্যান্সে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছেন পিএইচপি জানা ফ্রিল্যান্সাররা। এর পরেই সেরা ১০টি দক্ষতার তালিকায় আছে এইচটিএমএল, ওয়ার্ডপ্রেস, সিএসএস, মাইএসকিউএল, ফটোশপ, ইন্টারনেট মার্কেটিং, গ্রাফিকস ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও ডাটা এন্ট্রি। তবে নতুন দক্ষতা হিসেবে দ্রুত উঠে আসছে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট।

ঢাকার বাইরে ফ্রিল্যান্সিং

ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলার ফ্রিল্যান্সাররা উপার্জনের দিক থেকে ধীরে ধীরে উঠে আসছেন। ইল্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাইরে বেশির ভাগ সফল ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন বিভাগীয় শহরগুলোতে। উপার্জনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের সেরা সাতটি শহর হলো ঢাকা, খুলনা, জামালপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও বগুড়া।

‘ছোট’ কাজে কত টাকা?

কোনো কাজই ছোট নয়। তবে ‘মাইক্রো ওয়ার্ক’ বা ‘ছোট কাজ’ দিন দিন অনলাইনে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
কখনো সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহার করে লাইক দেওয়া, ফরমায়েশে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া, অনলাইনে ভোট দেওয়া, মন্তব্য করা, বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা, বিজ্ঞাপন দেখা প্রভৃতি মাইক্রো ওয়ার্কের মধ্যে পড়ে। দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার এখন ঘরে বসে ‘মাইক্রো ওয়ার্ক’ করেও আয় করছেন। কিন্তু শ্রম ও সময় ব্যয়ের সঙ্গে পারিশ্রমিক ঠিকঠাক মিলছে তো?
অনলাইনে ‘মাইক্রো ওয়ার্ক’-এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। নানা ধরনের ছোটখাটো কাজের জন্য ভারচুয়াল কর্মী নিয়োগের হার বাড়ছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
এ ধরনের সাইটগুলোতে কাজ করতে প্রথমে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের প্রোফাইল তৈরি করতে হয়। এরপর সাইটে পোস্ট করা কাজগুলোর মধ্য থেকে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ বেছে নেওয়া যায়।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো এক সপ্তাহে মাইক্রো ওয়ার্কিং সাইট বা প্ল্যাটফর্মগুলোতে ৩৭ ঘণ্টার বেশি পরিশ্রম করে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ টাকা আয় করা সম্ভব হয়।
বিবিসির একজন কর্মী ওই প্রতিবেদনে লিখেছেন, তিনি এক সপ্তাহ ধরে মাইক্রো ওয়ার্কিং সাইটগুলোতে প্রাণান্ত পরিশ্রম করেন। নিজের দক্ষতার পাশাপাশি সময়ের অপচয় করে ‘মাইক্রো ওয়ার্কিং’ সাইটে এক সপ্তাহ কাজ করার বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, এই সাইটগুলো থেকে আশানুরূপ আয় করা সম্ভব হয় নয়।
‘মাইক্রো ওয়ার্ক’ বা ক্ষুদ্র কাজদাতা হিসেবে অনলাইনে বিভিন্ন সাইট রয়েছে। এসব সাইটে কাজের মধ্যে রয়েছে ‘সাইন আপ’, ‘লাইক’, ‘ভোট’, ‘গেম’, ‘বিজ্ঞাপন ক্লিক’, ‘ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখা ও রেটিং দেওয়া’, ‘জরিপ’, ‘অনুবাদ’, ‘রিভিউ’ ‘ক্ষুদ্র ব্লগ’ প্রভৃতি। প্রতিটি কাজের জন্য খুবই কম পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেন কাজদাতা। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ‘মাইক্রো ওয়ার্কার্স’ নামের একটি সাইটে ‘সাইনআপ’-এর মতো একটি কাজ করে মাত্র সাত টাকা আয় হয়। এ ধরনের কাজে পাঁচ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।
বিভিন্ন সাইটে লাইক দেওয়া, সাইন আপ করা প্রভৃতি ক্ষুদ্র কাজের মাধ্যমে ২০ ডলার জমা হলেই কেবল অর্থ উত্তোলনের জন্য আবেদন করা যায়। এ অর্থ থেকে আবার কিছু কেটেও রাখা হয়। তবে কিছু সাইটে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এক ডলার পর্যন্ত বোনাস দেয়। এ ধরনের কাজের জন্য নিজের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট, ই-মেইল অ্যাকাউন্ট, ব্যক্তিগত তথ্য প্রভৃতি ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে।
মাইক্রো ওয়ার্কিংয়ের জন্য জনপ্রিয় একটি সাইট হচ্ছে ‘ক্লিক ওয়ার্কার’। এ সাইটে অ্যাকাউন্ট খোলা ও প্রোফাইলের তথ্য শতভাগ পূরণ হলে তবে কাজ পাওয়া যায়। এসব সাইটে কাজ করার পর অর্থ পরিশোধের বিষয়টি নির্ভর করে কাজদাতার ইচ্ছার ওপর।
বিভিন্ন সাইটে কাজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সময় ও শ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক নামমাত্র। এ ক্ষেত্রে বাস্তবিক দুনিয়ার কাজের মতো দ্রুত টাইপ, সৃজনশীল লেখা, সামান্য গবেষণা ও দক্ষতার ছোঁয়া দেখাতে পারলে অবশ্য শ্রমের মূল্য আসতে পারে।
মাইক্রো ওয়ার্কিংয়ে অভিজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, যাঁরা নতুন এবং মাইক্রো ওয়ার্ক করার কথা ভাবেন, তাঁদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, ভালো পারিশ্রমিক পেতে অমানুষিক শ্রম দিতে হবে।

নতুনদের জন্য অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে পরামর্শ

ঘরে বসেও অনলাইনে আয় করা যায়। ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার, ইল্যান্সের মতো অনলাইন মার্কেপ্লেসে কাজ করছেন বাংলাদেশের অনেক ফ্রিল্যানসার। নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
১. থাকতে হবে কাজের দক্ষতা, উদ্যোগ, ধৈর্য, অনলাইন উপস্থিতি, পেশাদারিত্ব, মনোযোগ।
২. ইংরেজিতে যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে, কাজের বর্ণনা বুঝতে হবে, সামাজিক যোগাযোগে দক্ষতা থাকতে হবে।
৩. দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ, ভালো মানের কম্পিউটার থাকতে হবে। কাজের পরিবেশ থাকতে হবে।
৪. কাজের মনস্থির করে প্রথমেই খুলতে হবে অ্যাকাউন্ট। শক্ত পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্টটি ভালোভাবে তৈরি করতে হবে।
৫. নিজের প্রোফাইলটিকে সুন্দর করে সাজানো দরকার সবার আগে। প্রোফাইলে নিজের কাজের দক্ষতা উল্লেখ করতে হবে।
৬. প্রোফাইল তৈরির পর টাকা ধৈর্য ধরে বিড করতে হবে। 
৭. দক্ষতার জন্য পরীক্ষা দেওয়া যায় এবং তাতে ভালো স্কোর কাজ পেতে সাহায্য করবে।
৮. আপনার পছন্দের কাজে জন্য বিড করতে পারেন। বিড করার জন্য বায়ারের চাওয়া দক্ষতাগুলো তুলে ধরতে পারলে কাজ পাওয়া সহজ।

পিডিএফ ফাইলের রূপান্তর

পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট (পিডিএফ) ফাইল অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। পিডিএফ ফাইলে গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা অবিকল অবস্থায় থাকে। সাধারণত কোনো ওয়ার্ড ফাইল সহজে রূপান্তর করে পিডিএফ তৈরি করা যায়। এ জন্য রয়েছে নানা ধরনের সফটওয়্যার। তবে ইচ্ছা করলে পিডিএফে থাকা লেখা ওয়ার্ড ফাইলেও রূপান্তর করা যায়।
অনেক সময় লেখা সম্পাদনা বা অন্য্য দরকারে পিডিএফ ফাইলের লেখা ওয়ার্ড ফাইলে রূপান্তরের প্রয়োজন হয়। কাজটি করার জন্য রয়েছে নানা সফটওয়্যার। সফটওয়্যার ছাড়া কাজটি অনলাইনে বসেও করা যায়। এ জন্য প্রথমেই www.pdfonline.com/pdf-to-word-converter ঠিকানায় যান। এবার আপনার কম্পিউটারে থাকা পিডিএফ ফাইলটি এ ওয়েবসাইটের Upload file to convert অপশনে গিয়ে নির্বাচন করে দিন। দুটি অপশন আসবে, I just want to download PDF file অপশনটি নির্বাচন করে দিতে হবে। কাজ সম্পূর্ণ হলে Download Word file-এ ক্লিক করে নিলেই হবে। একই পদ্ধতিতে চাইলে ওয়ার্ড ফাইলকেও পিডিএফে রূপান্তর করা যাবে। —আছিব চৌধুরী

ফাইল থাক গুগল ড্রাইভে

নিজের যন্ত্রে নয়, ওয়েবে গুগল ড্রাইভে রাখা যায় যেকোনো ফাইল। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের তথ্য বা ফাইল গুগল ড্রাইভে রেখে পরে সিনক্রোনাইজ করে সেগুলো ব্যবহার করা যায়। এখানে ব্যবহারকারীর জন্য ১৫ গিগাবাইট তথ্য বিনা মূল্যে রাখা যাবে।
জিমেইল ব্যবহারকারীরা https://drive.google.com ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে পরিচিতি (আইডি) এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ঢুকে এ সুবিধা নিতে পারেন। অন্য ই-মেইল ব্যবহারকারীরা ঠিকানার লাল Sign Up বোতাম চেপে সব ঘর পূরণ করে ই-মেইলের ঘরের নিচে I prefer..address-এ ক্লিক করে ই-মেইল ঠিকানা লিখে অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন।
এরপর গুগল ড্রাইভের এখানে Create-এর লাল বোতাম চেপে Folder নির্বাচন করে এর একটি নাম দিয়ে Create চাপুন। গুগল ড্রাইভে রাখা যেকোনো ফাইলে ডান ক্লিক করে Move to নির্বাচন করে তৈরি করা ফোল্ডার দেখিয়ে দিলে সেটি সেই ফোল্ডারে চলে যাবে।
কম্পিউটার থেকে কোনো ফাইল গুগল ড্রাইভে রাখতে চাইলে Create-এর লাল বোতামের পাশের Upload বোতাম চেপে Files নির্বাচন করে যে ফাইল এখানে রাখতে চান সেটি দেখে দিন। ফাইল রাখার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং এটি সম্পন্ন হলে তা যে কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারবেন। এ জন্য ফাইলের ওপর ডান ক্লিক করে Share চেপে আবারও Share নির্বাচন করুন। একটি ঠিকানা পাবেন। এটিতে গিয়ে সেটি নামিয়ে নেওয়া যাবে।
—মো. রাকিবুল হাসান

অচল মেমোরি কার্ড আবার সচল?

তথ্য স্থানান্তর করার সময় ফোনের মেমোরি কার্ড হঠাৎ খুলে নেওয়া হলে বা কোনোভাবে সংযোগ বিছিন্ন হলে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অকেজো হতে পারে।নানাভাবে এমন অকেজো মেমোরি কার্ড সচল করা গেলেও সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাহ্যিকভাবে নষ্ট প্রায় কার্ডকে ঠিক করতে ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
মেমোরি কার্ডের তথ্য দেখা যাচ্ছে, কিন্তু সেটি ব্যবহার করা না গেলে আপনাকে এই সফটওয়্যার সমাধান দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডেটা উপস্থিত থাকে কিন্তু কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্র সেটিকে পড়তে (রিড) পারে না। এ জন্য কার্ড রিডারে মেমোরি কার্ড ঢুকে নিয়ে কম্পিউটারে সংযোগ দিন। খেয়াল রাখুন, মেমোরি কার্ড ফাইল এক্সপ্লোরারে বা হার্ডড্রাইভের অন্যান্য ডিস্কের মতো দেখালে এটিতে প্রবেশ করা যাবে না, কিন্তু ফাইল সিস্টেম ঠিক আছে। এবার উইন্ডোজ ৭-এ স্টার্ট মেন্যুতে cmd লিখে এর ওপর ডান বোতাম চেপে Run as administrator নির্বাচন করে সেটি খুলুন। কমান্ড প্রম্পট চালু হলে এখানে chkdsk m:/r লিখে এন্টার করুন। এখানে m: হচ্ছে মেমোরি কার্ডের ড্রাইভ । কম্পিউটারে কার্ডের ড্রাইভ লেটার যেটি দেখাবে সেটি এখানে লিখে চেক ডিস্কের কাজটি সম্পন্ন হতে দিন। এখানে convert lost chains to files বার্তা এলে y চাপুন। এ ক্ষেত্রে ফাইল কাঠামো ঠিক থাকলে কার্ডের তথ্য আবার ব্যবহার করা যাবে। মেমোরি কার্ড যদি invalid file system দেখায় তাহলে সেটির ড্রাইভের ডান ক্লিক করে Format-এ ক্লিক করুন। File system থেকে FAT নির্বাচন করে Quick format-এর টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Format-এ ক্লিক করুন। ফরম্যাট সম্পন্ন হলে মেমোরি কার্ডের তথ্য হারালেও কার্ড নষ্ট হবে না। —মো. রাকিবুল হাসান

ওয়েবসাইট দ্রুত ব্রাউজ করুন

ওয়েবসাইট তৈরির জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরি ওয়েবসাইট মাঝেমধ্যে খুলতে অনেক সময় নেয়। ইচ্ছে করলে এ কাজটি দ্রুত করা যায়।অর্থাৎ একটি প্লাগ-ইন ইনস্টল করে ওয়েবসাইট দেখার গতি বাড়িয়ে নেওয়া যায়।
এ জন্য http://wordpress.org/plugins/w3-total-cache ঠিকানা থেকে w3-total-cache প্লাগ-ইনটি নামিয়ে নিন। তারপর আপনার ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ড থেকে Plug-in অপশনে ক্লিক করুন। এবার Add new থেকে Upload অপশনে ক্লিক করে Choose File-এ নামানো প্লাগ-ইনটি নির্বাচন করে দিন। এবার Install Now-এ ক্লিক করুন। আপলোড হয়ে গেলে অ্যাকটিভ বাটনে ক্লিক করে ব্রাউজারটি পুনরায় রিলোড করে নিন। এবার দেখুন আপনার সাইট ওপেন হওয়ার সময় অনেক দ্রুত হয়েছে। প্লাগইনটি ব্যবহার করতে না চাইলে Plug-in অপশন থেকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে পারেন। —আছিব চৌধুরী

অ্যান্ড্রয়েড ৭৯% ম্যালওয়্যারের খনি!

যুক্তরাষ্ট্রের মুঠোফোন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেদের মতে, অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোন লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি ম্যালওয়্যার আক্রমণ চালায় সাইবার দুর্বৃত্তরা। ২০১২ সালে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন লক্ষ্য করে ৭৯ শতাংশ ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। এরপরের অবস্থানে ছিল নকিয়ার সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেম। অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমকে লক্ষ্য করে এক শতাংশের কম ম্যালওয়্যার আক্রমণ চালানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণ তথ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট পাবলিক ইনটেলিজেন্স স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার আক্রমণ বিষয়ক একটি মেমো প্রকাশ করেছে। এতে ম্যালওয়্যার আক্রমণের শীর্ষ লক্ষ্য হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডকে চিহ্নিত করা হয়েছে। টেক্সট ট্রোজান, ভুয়া বার্তা, পাসওয়ার্ড ও তথ্য চুরির মতো বিষয়গুলো অ্যান্ড্রয়েডে বেশি হয় বলেই মেমোতে জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেদের মতে, ৪৪ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী এখনও এ অপারেটিং সিস্টেমের পুরোনো সংস্করণ অর্থাত্ জিঞ্জারব্রেড সংস্করণ ব্যবহার করছেন। ২০১১ সালে জিঞ্জারব্রেড সংস্করণ উন্মুক্ত করেছিল গুগল। জিঞ্জারব্রেড সংস্করণে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি। জিঞ্জারব্রেডের পরবর্তী সংস্করণগুলোতে নিরাপত্তা ত্রুটি কমিয়ে ফেলেছে গুগল।
গবেষকেরা মোবাইল ফোনের হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে এর আগেও গবেষকেরা সতর্ক করেছিলেন। এর আগে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ নতুন ম্যালওয়্যারের লক্ষ্যই হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। ক্যাসপারস্কির তথ্য অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড লক্ষ্য করে বানানো ম্যালওয়্যারগুলোর বেশির ভাগই হচ্ছে এসএমএস ট্রোজান। অ্যান্ড্রয়েডে এই ম্যালওয়্যার  প্রবেশ করলে ব্যবহারকারীর অজান্তেই সেটি বার্তা প্রেরণ ও অর্থ চুরি করতে পারে। অ্যান্ড্রয়েডকে লক্ষ্য করে বানানো ম্যালওয়্যরগুলোর অধিকাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও নেদারল্যান্ডস থেকে।

ম্যালওয়্যার ঝুঁকি প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
১. হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করুন।
২. অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের সময় সতর্ক থাকুন, অ্যাপ্লিকেশনের রেটিং, রিভিউ ও নির্মাতার পরিচয় জেনে ডাউনলোড করুন।
৩. অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তায় অর্থ খরচ করে অ্যান্টি-ভাইরাস কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া বিনামূল্যে অ্যাপ্লিকেশন স্টোরগুলোতেও অনেক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের জন্য পাওয়া যায়। বাজারে পাবেন নরটন, লুকআউট, ম্যাকাফি, এভিজি অ্যান্টিভাইরাস। বিনামূল্যে অ্যান্টিভাইরাস ডাউনলোডের আগে সচেতন থাকুন।

ফোনের ইন্টারনেট ল্যাপটপে

স্মার্টফোনের ইন্টারনেট সংযোগ ল্যাপটপ কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়। অ্যান্ড্রয়েডের ২.১ সংস্করণ থেকে পরবর্তী সব সংস্করণে ফোনকে ওয়াই-ফাই হটস্পট বানিয়ে ফেলা যায়। ফলে ফোনের ইন্টারনেটকে ওয়াই-ফাই সুবিধা আছে এমন যেকোনো যন্ত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
আপনার অ্যান্ড্রয়েডে ইন্টারনেট সংযোগ চালু রেখে ফোনের মেইন মেনু থেকে Settings-এ গিয়ে Wireless and networks-এ যান। এখানে Tethering and portable hotspot চেপে Portable Wi-Fi hotspot settings-এ ক্লিক করলে Configure portable Wi-Fi hotspot চালু হবে। এখানে Network SSID-GZ ProthomAlo-M21 বা নিজের পছন্দমতো নাম লিখে Security থেকে WPA2 PSK বেছে নিন। পাসওয়ার্ড ঘরে পছন্দমতো পাসওয়ার্ড লিখে Save বোতাম চাপুন। সফলভাবে সম্পন্ন হলে Portable Wi-Fi hotspot-এ ProthomAlo-M21 is active লেখা দেখাবে এবং অন্য যন্ত্রে ইন্টারনেট চালানোর জন্য সেটি উপযোগী হবে। এখন ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে উইন্ডোজ ৭-এর Win key + X চেপে Turn Wireless on করে নিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোনের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এখানে পেয়ে যাবে। টাস্কবারে ঘড়ির পাশের ওয়্যারলেস আইকনে ক্লিক করে ProthomAlo-M21 নেটওয়ার্কের নাম দেখালে সেটিতে ক্লিক করে Connect-এ ক্লিক করুন। Network Security key চাইলে হটস্পট তৈরিতে যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছিলেন সেটি এখানে লিখে ওকে করলে ইন্টারনেট সংযুক্ত হবে। অন্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে, মেইন মেনুতে থেকে Settings-এ গিয়ে Wireless and networks থেকে Wi-Fi চেপে সেটি সক্রিয় করে নিন। Wi-Fi settings-এ গেলে চালু থাকা যেকোনো ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক দেখা যাবে। — মো. রাকিবুল হাসান

অ্যান্ড্রয়েডে অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলুন

অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোনে প্রতিদিন নানান অ্যাপস ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের মতোই এতেও কিছু অপ্রয়োজনীয় ফাইল তৈরি হয়। আর সেই সব ফাইল জমা হতে থাকে অস্থায়ী মেমরিতে এবং ফোনের র‌্যামে। এসব ফাইল যত বেশি হয়, তত ফোনের স্বাভাবিক কাজকে ধীরগতির করে দেয়। কাজের গতি ঠিক রাখতে এসব অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলে র‌্যামের দখলকৃত জায়গা খালি করে দিতে পারলে অ্যান্ড্রয়েডে কাজ হবে আরও দ্রুত। এটি সহজে করা যাবে ক্লিন মাস্টার নামের জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দিয়ে। এটি গুগল প্লে-স্টোরের http://goo.gl/JjYQUG ঠিকানা থেকে ইনস্টল করে নিন। এর কাজ বুঝতে অ্যাপসটি চালু করে Junk Files চেপে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এবার Clean চেপে তা পরিষ্কার করে নিন। এই কাজের মাধ্যমে আপনি ক্যাশ মেমোরি এবং অবশিষ্টাংশ ফাইল মুছে নিতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষেত্রে ক্যাশে এবং অবশিষ্টাংশ (রেসিডুয়াল) ফাইল মেমরিতে শত শত মেগাবাইট অপ্রয়োজনীয় জায়গা দখল করে কাজকে ধীরগতির করে দেয়। একইভাবে এখানে থাকা Privacy, Tasks, App Manager-এ আলাদাভাবে গিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে Clean চেপে সেগুলোর অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলুন। এর App Manager অপশন ব্যবহার করে ইনস্টল এবং চালু থাকা অ্যাপসকে ব্যাকআপ এবং আন-ইনস্টল করাসহ অপ্রয়োজনীয় ফাইলও মুছে নেওয়া যাবে। ওপরে ডানে ডিটেইলস আইকন চেপে Settings-এ গিয়ে Cache Reminder নির্বাচন করে ক্যাশ মোছার কাজটি শিডিউলভাবে করা যাবে। তেমনিভাবে Frequency অপশন ব্যবহার করে কমপক্ষে তিন দিন পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপ্রয়োজনীয় ফাইল মোছার কাজটি করে নেওয়া যাবে। Task Killer-এর Auto Kill ব্যবহার করে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ্লিকেশনসহ যেকোনো অ্যাপসের স্বয়ংক্রিয় জায়গা দখলমুক্ত করা যাবে। —মো. রাকিবুল হাসান

উইন্ডোজ এক্সপি ছাড়ার পরামর্শ

উইন্ডোজের সাম্প্রতিক সংস্করণগুলো জনপ্রিয় করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে মাইক্রোসফট। এর মধ্যে রয়েছে এক্সপিকে বিদায় দেওয়া। ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিলের পর উইন্ডোজ এক্সপির জন্য আর কোনো আপডেট বা নিরাপত্তা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফট অফিস ২০০৩-এর অফিশিয়াল সাপোর্টও শেষ হবে একই সময়ে। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, এক্সপির আপডেট বন্ধ করা হলেই কম্পিউটারের ম্যালওয়্যারের আক্রমণ বেড়ে যাবে। তাই আগেভাগেই মাইক্রোসফটের নতুন সংস্করণ আপডেট করার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এক সময়ের জনপ্রিয় উইন্ডোজ এক্সপি ২০১৪ সালনাগাদ বন্ধ হবে আর উইন্ডোজ ৭ বন্ধ হবে ২০২০ সালের ১৪ জুন। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত উইন্ডোজ ৭-এর  জন্য ফিচার আপডেট করে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর নকশায় বড় ধরনের পরিবর্তন করে উইন্ডোজ ৮ বাজারে এনেছে মাইক্রোসফট। তবে, জটিল বলে উইন্ডোজ ৮ নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে অনেক। সম্প্রতি উইন্ডোজ ৮-এর আপডেট উইন্ডোজ ৮.১ উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।
মাইক্রোসফটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা পুরোনো সংস্করণ ছেড়ে অবশ্যই নতুন সংস্করণে অভ্যস্ত হবেন এতে কম্পিউটার সুরক্ষিত থাকবে।
ওয়েববিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান নেট অ্যাপ্লিকেশনসের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে উইন্ডোজের দখলে রয়েছে ৯১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, অ্যাপলের ম্যাক ওএসএক্সের দখলে রয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ আর লিনাক্সের দখলে রয়েছে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বর্তমানে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে জনপ্রিয় সংস্করণটি হচ্ছে উইন্ডোজ ৭। বর্তমানে উইন্ডোজ ৭-এর দখলে রয়েছে বাজারের ৪৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। উইন্ডোজ ৭-এর পর জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এক্সপি। বাজারে ৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ এক্সপির দখলে। উইন্ডোজ ভিস্তার দখলে রয়েছে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ আর উইন্ডোজ ৮ দখল করেছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ।

ব্যাটারির চার্জ বাড়বে অ্যান্ড্রয়েডে

অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোনে নানা রকমের অ্যাপস ব্যবহারের ফলে এর ব্যাটারির চার্জ বেশিক্ষণ থাকে না। বেশি অ্যাপস ব্যবহার করেও যাতে ফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা বাড়ানো যায়, সেটি উন্নয়নে গুগল ইনকরপোরেটেড কাজ করে যাচ্ছে। জুস ডিফেন্ডার ব্যাটারি সেভার নামের দারুণ এক অ্যাপস ব্যবহার করে ব্যাটারির চার্জ অনেকক্ষণ ধরে রাখা যাবে। এটি মূলত ব্যাটারির চার্জক্ষমতা বৃদ্ধি রাখতে বিশেষভাবে তৈরি। মোবাইল ডেটা, থ্রিজি, ফোরজি নেটওয়ার্ক যাতে বেশি ব্যাটারি খরচ না করে, সেটির বিরুদ্ধে অ্যাপসটি কাজ করে থাকে। গুগল প্লে-স্টোরের http://goo.gl/tFoFsK ওয়েবপাতা থেকে বিনা মূল্যে এটি ফোনে ইনস্টল করে নিতে পারেন। এবার অ্যাপসটি চালু করে এর Status বোতামে গিয়ে Enabled নির্বাচন করলে সেটি কাজ করার উপযোগী হবে। ফোনের ব্যাটারির খরচ কমিয়ে নেওয়া যাবে এর ডিফল্ট প্রোফাইলগুলো ব্যবহার করে। এর প্রোফাইলগুলো প্রতিটি আলাদা কাজের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এখানে Extreme প্রোফাইলকে বেছে নিলে সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতায় সেটি কাজ করবে। Configure Apps-এ গিয়ে ইনস্টল থাকা অন্যান্য অ্যাপসের জন্য এটিকে Enabled করে দিতে হবে। তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেকোনো অ্যাপসের অতিরিক্ত ব্যাটারি খরচকে বাধা প্রদান করে সেটিকে বন্ধ রাখবে। রাতে ফোন ব্যবহারের জন্য Night অপশনকে সক্রিয় করলে পাওয়া যাবে আরও বিশেষ সুবিধা। তাই অনেক সুবিধার এই অ্যাপসটি চালিয়ে ফোনের ব্যাটারি জীবনকে আরও বৃদ্ধি করে নিতে পারেন। —মো. রাকিবুল হাসান

উইন্ডোজ আটের দুটিটিপস

মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে রয়েছে বেশ কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য। সম্পূর্ণ নতুনভাবে উইন্ডোজ ৮ চালু হওয়ায় অনেকেই বিষয়গুলো পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যবহার করতে সমস্যায় পড়েন। এমন দুটি বিষয় সমাধানের টিপস দেওয়া হলো।

অ্যাপস চালু না হলে
উইন্ডোজ আটের কোনো অ্যাপে ক্লিক করছেন অথচ কিছুই ঘটছে না, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে পর্দার  রেজল্যুশনের কমবেশির কারণে তা প্রদর্শিত হচ্ছে না। বিশেষ করে উইন্ডোজ আটের অ্যাপস বর্তমানে ১০২৪ x ৭৬৮ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের কম সমর্থন করে না। তাই অ্যাপস যাতে দেখা যায়, সে জন্য ডেক্সটপে ডান বোতাম চেপে Screen Resolution নির্বাচন করে সেটি খুলে ১০২৪ x ৭৬৮ বা ১৩৬৬ x ৭৬৮ নির্ধারণ করে দিতে হবে। এতে সমাধান না পেলে কম্পিউটারের গ্রাফিকস কার্ডের ড্রাইভারটি হালনাগাদ (আপডেট) করে নিতে হবে।

স্টোর সমস্যা
উইন্ডোজ আটের জন্য অ্যাপস নামিয়ে নেওয়ার অন্যতম সুবিধা রয়েছে মাইক্রোসফট স্টোরে। এখান থেকে যেকোনো অ্যাপ ইনস্টল বা হালনাগাদ করে নেওয়া যায় কয়েক মুহূর্তেই। কিন্তু আপনার কম্পিউটারে যদি সেটি তাড়াতাড়ি সম্পন্ন না হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে এটি স্টোর করাপ্ট হওয়ার কারণে হচ্ছে না।
মাইক্রোসফট এমন সমস্যায় সমাধান দিয়ে থাকে ছোট্ট একটি কায়দার মাধ্যমে। এ জন্য Win + R একসঙ্গে চেপে রান চালু করুন। এখানে wsreset লিখে এন্টার চাপুন। তাহলে স্টোর ক্যাশ দূর হয়ে অ্যাপস ইনস্টল ও আপডেট সমস্যার সমাধান হবে।
যদি উইন্ডোজ হালনাগাদে কোনো সমস্যা হয় বা অ্যাপস চলতে সমস্যা করে, তবে Win + W একসঙ্গে চেপে এখানে trouble লিখুন। এবার Troubleshooting খুঁজে নিয়ে তাতে ক্লিক করুন। এবার এখানের Fix problems with Windows update-এ ক্লিক করলে কী ধরনের সমস্যা হয়েছে, সটি খুঁজে নিয়ে তার সমাধান আনা যাবে। —মো. রাকিবুল হাসান

কথা বলুন বিনা মূল্যে

হাল আমলে অনেকের হাতেই দেখা যায় স্মার্টফোন। ইন্টারনেট আর স্মার্টফোন থাকলে পুরো বিশ্বই হাতের মুঠোয় চলে আসে মুহূর্তেই। শুধু কথা বলা আর এসএমএস পাঠানোর বাইরেও যে অনেক কিছু করা যায়, হাতের ফোনটি দিয়ে সেটি এখন প্রমাণিত। আর নানা ধরনের কাজকে সহজ করতে রয়েছে লাখো অ্যাপ্লিকেশনস বা অ্যাপস।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সাধারণত যে কাজটি মূলত করা হয় সেটি হচ্ছে কথা বলা। এ কাজটি সাধারণত করা হয় নির্দিষ্ট মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। অ্যাপ ব্যবহার করে কথা বলা আর এসএমএস আদান-প্রদানের কাজটি চাইলে বিনা মূল্যে করা যায়।অর্থাৎ ইন্টারনেটে যুক্ত স্মার্টফোন থেকে কথা বলা আর এসএমএস করা যাবে, সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে। এমন সুবিধা নিয়ে রয়েছে ভাইবার নামের একটি অ্যাপ।
এটি প্রায় সব ধরনের স্মার্টফোনেই ব্যবহার করা যায়। ভাইবার মিডিয়ার তৈরি ভাইবার অ্যাপ উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, অ্যান্ড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরি, ওএস, আইওএস, সিরিজ ৪০, সিমবিয়ান, বাডা এবং উইন্ডোজ ফোনে ব্যবহার করা যায়। বিনা মূল্যে নিজের অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোনের প্লেস্টোর (http://goo.gl/x2eX0Y) থেকে, আইওএসের আইটিউনস (http://goo.gl/ZH5dhT) থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে অ্যাপসটি। এ ছাড়া উইন্ডোজ ফোনের জন্য ভাইবার নামাতে পারেন www.viber.com/ products/windows ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে। নিজের স্মার্টফোনে ইতিমধ্যে থাকা নম্বর তালিকায় যারা ভাইবার ব্যবহারকারী, তাদের নামের তালিকা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভাইবারে যুক্ত হয়ে যাবে। আর ভাইবারে যুক্ত হলে নিজের নম্বর তালিকায় থাকা অন্য ভাইবার ব্যবহারকারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পেয়ে যাবে নোটিফিকেশন। এ ছাড়া আপনার নম্বর তালিকায় যদি কেউ ভাইবারে যুক্ত হয়, আপনিও পেয়ে যাবেন নোটিফিকেশন আর ওই ব্যক্তির ভাইবার আইডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ভাইবার নম্বর তালিকায় যুক্ত হয়ে যাবে। চাইলে নিজের ছবি যোগ করা ছাড়াও ভাইবারের প্রোফাইলে নিজের কিছু তথ্য যোগ করতে পারেন। এতে করে অন্যরা আপনাকে খুঁজে পাবে সহজে।হয়তো দেখলেন আপনার নম্বর তালিকায় থাকা অনেকেই ভাইবার সম্পর্কে জানে না কিংবা ব্যবহার করছে না, চাইলে তাদেরও সহজে একটি এসএমএস পাঠিয়ে দিতে পারেন। সেটিংসে নিয়ে একটি স্বয়ংক্রিয় বার্তা তৈরি করা আছে যা শুধু আপনি পছন্দের ব্যক্তিদের পাঠিয়ে দিলেই হবে। এ ছাড়া আপনার ফেসবুক, টুইটার অ্যাকাউন্টে থাকা অন্যদেরও একই বার্তার মাধ্যমে ভাইবারে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। করতে পারেন ই-মেইলও। ভাইবার ব্যবহারকারীদের আপনার প্রিয় অনেককে একসঙ্গে চাইলে গ্রুপ এসএমএসও পাঠাতে পারবেন।
২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ভাইবার। আর চলতি বছরের ৭ মে ভাইবার ২০ কোটি বার ডাউনলোড হওয়ার মাইলফলক অর্জন করে।
ভাইবারে সবচেয়ে কাজের যে বিষয়টি তা হলো, এতে নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের মধ্যে যে কথা বলা যাবে কিংবা এসএমএস পাঠানো যাবে তা কিন্তু নয়। সারা বিশ্বে থাকা যেকোনো ভাইবার ব্যবহারকারীকেই যেমন বিনা মূল্যে ফোন করা যাবে, তেমনি পাঠানো যাবে এসএমএসও। বর্তমানে ৩০টি ভাষায় ভাইবার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। মোবাইলের ইন্টারনেটে পাশাপাশি চাইলে তারহীন ওয়াই-ফাই এবং থ্রিজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও উন্নত কথা বলার সুবিধা পাওয়া যায় ভাইবারে। এতে ইন্টারনেটের গতিও যে অনেক বেশি লাগে তা নয়, বরং নির্দিষ্ট ইন্টারনেট গতি থাকলেই দারুণভাবে কথা বলা যায় ভাইবার ব্যবহারের মাধ্যমে। বিনা মূল্যে কথা বলা, এসএমএস আদান-প্রদান, ছবিযুক্ত এসএমএস আদান-প্রদান, লোকেশন শেয়ার এসব সুবিধার ভাইবারে যুক্ত হতে কোনো নিবন্ধনের প্রয়োজন হয় না। ভাইবার ইনস্টল করার পর নিজের মোবাইল ফোনে ভাইবার একটি এসএমএস পাঠায়। ওই নম্বরটি সহজ নিবন্ধনের জন্য ভাইবারে লিখে দিলেই কাজ শেষ। বিস্তারিত: www.viber.com

অ্যান্ড্রোয়েডে ফাইল বিনিময়

অ্যান্ড্রোয়েড চালিত স্মার্টফোনের তথ্য, ফাইল ইত্যাদি কম্পিউটার থেকে নিতে বা ফোনে রাখতে মূলত কেব্ল সংযোগ ব্যবহার করতে হয়। ফোনের কেব্ল সঙ্গে না থাকলেও আপনার স্মার্টফোনের তথ্য, ছবি, ফাইল ল্যাপটপ কম্পিউটারে রাখতে পারবেন ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। এ জন্য ওয়াইফাই ফাইল ট্রান্সফার নামের অ্যাপস http://goo.gl/b8ZqKL ঠিকানা থেকে নামিয়ে ফোনে ইনস্টল করুন। আপনার ল্যাপটপ কম্পিউটারে এবং ফোনের ওয়াইফাই সেবা চালু করে নিয়ে অ্যাপসের Start বোতাম চাপুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে ওয়াইফাই অ্যাকসেসের জন্য একটি আইপি ঠিকানা জেনারেট হবে এবং এখানে বলে দেওয়া হবে Enter this URL in your computers browsers এবং ব্যবহারযোগ্য আইপি ঠিকানা উল্লেখ করা থাকবে। URL বা আইপি ঠিকানা কম্পিউটারের সঙ্গে লোকাল এরিয়া সংযোগ স্থাপনের একটি রাস্তা তৈরি করে থাকে। এখানে পাওয়া আইপি ঠিকানাটি (http://192.168.178.49:1234) হুবহু গুগল ক্রোম বা অন্য যেকোনো ইন্টারনেট ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে লিখে এন্টার চাপুন। ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সংযুক্ত হয়ে যাবে এবং সম্পন্ন হলে ফোনের অ্যাপসে The server will run in the background…until press stop বার্তার মাধ্যমে আপনাকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। এবার ল্যাপটপের ব্রাউজারে ফোনের এসডি কার্ডের সব তথ্য দেখতে পারবেন এবং প্রয়োজনে সেখান থেকে যেকোনো কিছু নিতেও পারবেন। ফাইল কম্পিউটারে নিতে চাইলে সেটি বাঁয়ের টিক চিহ্ন থেকে নির্বাচন করে Download চাপুন। কোনো ফাইল ফোনে রাখতে পর্দার বাঁ পাশের নেভিগেটর থেকে তা দেখে নিয়ে Select Files-এ ক্লিক করলে নতুন ডায়ালগ বক্স চালু হবে এবং যে যে ফাইল দরকার তা নির্বাচন করে Start Upload-এ ক্লিক করলে সেটি ফোনে সংরক্ষণ হবে।
—মো. রাকিবুল হাসান

ফায়ারফক্সের মাস্টার পাসওয়ার্ড

অনলাইনে যেকোনো সেবা পেতে নির্ধারিত ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ডকে ওয়েবসাইট দেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার (ব্রাউজার) মজিলা ফায়ারফক্সে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এতে আপনার ব্যবহার করা ই-মেইল বা ফেসবুক প্রতিবার আলাদাভাবে লগ-ইন না করেই শুধু একবার ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে প্রয়োজনে সেটিকে কাজে লাগানো যাবে। কিন্তু এতে কি নিরাপত্তা থাকছে?
যে কেউ চাইলেই সেই সাইটে ঢুকে আপনার সংবেদনশীল তথ্যে হানা দিতে পারে। আপনার কম্পিউটার অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা থাকলে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা যাবে মজিলা ফায়ারফক্সের মাস্টার পাসওয়ার্ড-সুবিধা ব্যবহার করে। এটি করতে প্রথমে ব্রাউজার থেকে ই-মেইলে ঢুকুন।এবার বাঁ দিকে ওপরে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করার বার্তা দেখালে Remember Password চেপে সেটি সংরক্ষণ করে নিন। মাস্টার পাসওয়ার্ড নির্ধারণ করতে Option থেকে Tools-এ গিয়ে Security ট্যাবে ক্লিক করুন। তারপর Use Master password-এ টিকচিহ্ন দিলে Change Master Password ডায়ালগ বক্স চালু হবে। এখানে Enter New ও Re-enter Password ঘরে দুবার পাসওয়ার্ড লিখে OK করুন।
পাসওয়ার্ড কতটা মজবুত হলো, সেটি এখানের Password Quality Meter পরিমাপ করে দেবে। শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের জন্য প্রয়োজনে বিশেষ চিহ্ন (! # $ % & *) যোগ করে নিতে পারেন। এখন নতুন যে কেউ সংরক্ষিত থাকা ওয়েবপেইজে ঢুকতে চাইলে তাঁকে অবশ্যই আগে মাস্টার পাসওয়ার্ড দিয়ে তারপর সেই সাইট দেখতে হবে, নইলে তিনি সেটি দেখতে পারবেন না। এখন প্রতিবার নতুন লগ-ইন তথ্য সংরক্ষণ করতে চাইলে আগে মাস্টার পাসওয়ার্ড দিয়ে তারপর সেটি সংরক্ষণ করতে হবে।
—মো. রাকিবুল হাসান

বাতিল করুন পাঠানো ই-মেইল

জরুরি কোনো ই-মেইল পাঠানোর পর মনে হলো, কিছু লিখতে ভুলে গেছেন বা যাকে পাঠানোর কথা, তাকে না পাঠিয়ে অন্যকে পাঠিয়েছেন। এমন সমস্যায় পড়লে গুগলের জিমেইলের আনডু সেন্ট ল্যাব আপনাকে বার্তা পাঠানোর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সেটিকে প্রত্যাহার করে সংশোধনী এনে আবার পাঠানোর সুবিধা দেবে। এটি করতে জিমেইলে ঢুকে (লগ-ইন) করে ওপরের ডানে Settings-এ যান। এবার এর Labs ট্যাবে ক্লিক করলে গুগলের অনেক উপকারী এবং মজার সুবিধা দেখা যাবে। এখান থেকে Undo Send ল্যাবটি খুঁজে নিয়ে সেটির Enable রেডিও বোতাম নির্বাচন করে পাতার একদম নিচে এসে Save Changes বোতাম চেপে সেটি সংরক্ষণ করুন। এটি সক্রিয় করলে আপনার মেইল ঠিকানা সেটির তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে। তাই যেকোনো মেইল পাঠানোর কমপক্ষে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত সেটি প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে।
এবার Settings-এর General ট্যাবে ক্লিক করুন। এখানে Undo Send-এর Send cancellation period: থেকে কত সেকেন্ড পর বাতিল করবেন, তা নির্ধারণ করে দিন। সুবিধামতো সময় বেছে নিয়ে এই পাতার নিচে এসে Save Changes বোতাম চেপে সেটি সংরক্ষণ করে দিন। এখন থেকে যখনই কাউকে বার্তা পাঠানো হবে, জিমেইলের ওপরে পপ-আপে Your message has been sent লেখার সঙ্গে Undo দেখাবে। Undo চাপলে তৎক্ষণাৎ সেটি বাতিল হবে এবং সংশোধনীর জন্য কম্পোজ খুলে যাবে। এবার প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে Send বোতাম চাপলেই সেটি প্রেরকের কাছে পুনরায় চলে যাবে। —মো. রাকিবুল হাসান

ফেসবুক: সাবধান কিন্তু!

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মকর্তা বহুদিন পর্যন্ত জানতেই পারেননি, তাঁর ছবি আর নাম ব্যবহার করে আপত্তিকর নানা কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরই এক পুরুষ সহকর্মী। সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে ওই নারীর মতো প্রতিদিনই কেউ না কেউ অপরিচিত বা পরিচিতজনদের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছেন।
ফেসবুকের যে আইডিগুলোতে ব্যবহারকারী তার নাম, পরিচয়, লিঙ্গ, ছবি, ব্যক্তিগত তথ্য, কর্মক্ষেত্র, পড়াশোনার স্থানসহ কোনো কোনো ব্যক্তিগত বিষয়ে ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে, সেগুলোকে ফেক আইডি বলা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ খাতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) বলছে, বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৬ লাখ। এর মধ্যে ১১ লাখই ভুয়া।
ভুয়া আইডি দিয়ে প্রতারণার বিষয়টি এখন এমন এক স্তরে পৌঁছেছে যে ভুক্তভোগীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) দ্বারস্থ হচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আজকাল অনেকেই ভুয়া আইডির বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। তাঁরা অভিযোগও করছেন। অভিযোগগুলো আমরা তদন্ত করে দেখি এবং ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই।’ একই মন্তব্য করেছেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাবের কর্মকর্তারা।
ফেসবুকে ভুয়া আইডির ব্যবহার ঠিক কতজন করছে, তার আসল সংখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে দেখা গেছে, ঢাকা শহরের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী লেখাপড়া করছেন ‘ঢাকা কলেজে’।
ফেসবুকে ভুয়া তথ্য দিয়ে অনেকে মজা পেলেও প্রতারণার শিকার কেউ কেউ মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মনোরোগ চিকিত্সক মুনতাসির মারুফ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতারিত হলে প্রথমেই প্রতারণার শিকার ব্যক্তিটি বিষণ্নতায় ভুগতে শুরু করেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এর ব্যাপকতা এতটাই হয় যে তাঁদের মধ্যে সামাজিক ভীতি দেখা দিতে পারে। তাঁরা হয়তো আর কখনোই কারও সঙ্গে সহজে মিশতে পারেন না।
প্রতারণার ধরন: রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন এক নারী। হঠাত্ই একদিন তিনি ফেসবুকে নিজের ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা একটি ভুয়া আইডি খুঁজে পেলেন। ওই ভুয়া আইডি থেকে নিয়মিত অশ্লীল স্ট্যাটাস আপলোড করা হতো। প্রতারণার শিকার ওই নারী এ ঘটনায় ভীষণ বিব্রত বোধ করছিলেন। অশ্লীলতার মাত্রা এতটাই ছিল যে তিনি শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে বের হয় ভুয়া ফেসবুক আইডিটি তাঁর একজন পুরুষ সহকর্মীর।
ভুয়া ফেসবুক আইডি নিয়ে প্রায়ই বিড়ম্বনার শিকার হন বিভিন্ন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনয়শিল্পীরা। একজন অভিনেত্রী নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমার নামে অন্তত ২০-২৫টি ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে। থানায় জিডি করেছি। র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করে ৮-১০টি আইডি বন্ধ করাতে পেরেছি। এর মধ্যে দুটো আইডিতে আমার ফোন নম্বর ব্যবহারসহ অশ্লীল কথাবার্তাও পোস্ট করা হয়। আমি ও আমার পরিবার ভীষণ সমস্যায় পড়ে এতে।’
প্রতারণার শিকার এক পুরুষ জানান, তিনি ফেসবুকে নিয়মিত একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতেন। একপর্যায়ে কথা বলাটা নেশার মতো হয়ে দাঁড়ায়। তাঁকে ভালোবাসতে শুরু করেন। কিন্তু হঠাত্ মেয়েটি উধাও হয়ে যায় ফেসবুক থেকে। এ নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন মানসিক যন্ত্রণায় ভুগেছেন। এভাবে কেউ প্রতারণা করতে পারে, এটা ছিল তাঁর ধারণার বাইরে।
প্রতারকেরা কী বলে: ফেসবুকে বেশ কয়েকটি আইডি খুলেছেন এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, সুন্দরী এক নারীর ছবি দিয়ে তিনি সমাজের কিছু মুখোশ পরা ভালো মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। বাজিয়ে দেখেন তাঁরা আদতেই ভালো কি না। এ ছাড়া তাঁর মনে হয়েছে মেয়ে হলে ফেসবুকে অন্যরা যতটা আগ্রহ নিয়ে কথা বলেন, ছেলে হলে বলেন না। সে কারণেই তিনি এই বুদ্ধি এঁটেছেন।
ধরা পড়লে নিস্তার নেই: সংশোধিত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ধারা লঙ্ঘন করলে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান আছে। এক কোটি টাকা জরিমানাও হতে পারে। কেউ ভুয়া আইডির কারণে প্রতারণার শিকার হলে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যেতে পারেন।
নারী সহকর্মীর ছবি ও নাম দিয়ে আইডি খুলে প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেন এক ব্যক্তিকে। র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এ টি এম হাবিবুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, র‌্যাবের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন অনেকেই। র‌্যাব প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের সহযোগিতা করে থাকে; অনেক সময় থানায় পাঠায়।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকে ভুয়া আইডি খোলা ও অন্যকে প্রতারণা করাটা ব্যবহারকারীর খারাপ দিক; এটি ফেসবুকের খারাপ দিক নয়। ভুয়া আইডির বিড়ম্বনা থেকে স্বস্তি পেতে বন্ধুত্বের অনুরোধগুলো ভালো করে যাচাই-বাছাই করে দেখা উচিত। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম পারস্পরিক সম্পর্কগুলো নড়বড়ে করে দিচ্ছে। ২৪ হাজার দম্পতির ওপর করা এক জরিপ থেকে তারা এমন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।

‘সারফেস’ স্মার্টফোন তৈরি করেছিল মাইক্রোসফট!

নকিয়া কেনার ঘোষণা দেওয়ার আগে ‘সারফেস’ ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছিল মাইক্রোসফট। ‘সারফেস’ ব্র্যান্ডের ট্যাবলেট বাজারে আশানুরূপ সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হলেও স্মার্টফোন নিয়ে উত্সাহী ছিল প্রতিষ্ঠানটি। ২০১২ সালের অক্টোবরে উইন্ডোজনির্ভর সারফেস ট্যাব বাজারে এনেছিল মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফটের অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাতে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে, উইন্ডোজনির্ভর সারফেস ব্র্যান্ডের বেশ কয়েকটি স্মার্টফোন প্রটোটাইপ তৈরি করেছিল মাইক্রোসফট। স্মার্টফোন তৈরির পরিকল্পনার কথা প্রকাশ হওয়ার আগে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর বিটস ব্লগে অ্যান্ড্রয়েডচালিত লুমিয়া স্মার্টফোনের তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল। ওই ব্লগে দাবি করা হয়েছিল, লুমিয়া সিরিজে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন আনার পরিকল্পনা ছিল নকিয়ার, এ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেছিল ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৪ সালে নকিয়া অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোন বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছিল। মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তি সম্ভব না হলে নকিয়া আগামী বছর অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বাজারে আনার সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল।
এদিকে, নকিয়ার সঙ্গে চুক্তি সম্ভব না হলে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ সারফেস ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন নিয়েই বাজারে চলে আসতো বলেই মনে করছেন প্রযুক্তি গবেষকেরা।
‘নিউইয়র্ক টাইমস’ জানিয়েছে, নকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড পরিকল্পনায় মরিয়া হয়ে মাইক্রোসফটকে দ্রুত নকিয়া কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

আইফোন ৫এসের জবাবে গ্যালাক্সি এস৫!

স্মার্টফোনের বাজারে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের লড়াই এখন তুঙ্গে। ১০ সেপ্টেম্বর আইফোন ৫এস ও ৫সি নামে দুটি মডেলের আইফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। অ্যাপলের নতুন স্মার্টফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান স্যামসাং ‘গ্যালাক্সি এস৫’ নামে একটি স্মার্টফোন বাজারে আনতে পারে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসনাগাদ ধাতব কাঠামোর গ্যালাক্সি এস৫ বাজারে আনতে পারে স্যামসাং। এ স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড কিটক্যাট বা টাইজেন ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ১৬ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা যুক্ত করার সম্ভাবনাও দেখছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টি৩-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যামসাং সম্প্রতি ভিয়েতনামের প্রকৌশলীদের নিয়ে ধাতব অ্যালুমিনিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম কাঠামোর স্মার্টফোন তৈরির বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখছে।
১০ সেপ্টেম্বর অ্যাপলের নতুন ৬৪ বিট চিপের আইফোন ৫এস বাজারে ছাড়ার ঘোষণার পরপরই এবার ৬৪ বিট চিপের স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। অ্যাপলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস৫ হতে পারে সেই স্মার্টফোন।
স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের উপপ্রধান নির্বাহী শিন জং কিউন বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আমরা আমাদের স্মার্টফোনে নতুন এই চিপ সংযুক্ত করব, যা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের নতুন এক অভিজ্ঞতা দেবে।’

থ্রিজি এখন !!!

য়ে গেল তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি থ্রিজির নিলাম। এর ফলে টেলিটকের পর বেসরকারি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল গ্রাহকদের থ্রিজি সেবা দেওয়ার অনুমতি পেল। এর আগে গত বছরের ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রযুক্তিটি উন্মুক্ত করা হয়। এরপর পরীক্ষামূলকভাবে থ্রিজি সেবা চালু করে টেলিটক।

থ্রিজির নিলাম৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে থ্রিজি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আয়োজিত এই নিলামে গ্রামীণফোন ১০ মেগাহার্টজ এবং রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল ৫ মেগাহার্টজ করে স্পেকট্রাম পায়। নিলামে অবশ্য তোলা হয়েছিল ৪০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম।
লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালানোর জন্য দরকারি যন্ত্রপাতি আমদানি করতে বিটিআরসি সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানা গেছে। বিটিআরসি ইতিমধ্যে সব অপারেটরকে থ্রিজি সেবা ব্যবহারের মূল্য নির্ধারণ করতে বলেছে।

থ্রিজি প্রযুক্তি
এককথায় থ্রিজি প্রযুক্তি হচ্ছে উচ্চগতির মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার একটি প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে মোবাইল ভিডিও কল থেকে শুরু করে মোবাইলে টিভি দেখাসহ নানা সুবিধা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ভিডিও সম্মেলন, টেলিমেডিসিনের কাজ ঠিকঠাক করা যায় এ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে। এর আকর্ষণীয় সুবিধা হলো, থ্রিজি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলার পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা ভৌগোলিকভাবে যে অবস্থানেই থাকবেন, সেখানেই উচ্চগতির ইন্টারনেট পাবেন। ব্যবহার করা যাবে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস), যার মাধ্যমে নিখুঁত পথনির্দেশনা পাওয়া যাবে। এ মোবাইল নেটওয়ার্কটি তৃতীয় প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক। বাংলাদেশে এর আগে ব্যবহূত নেটওয়ার্ক ছিল ২.৫জি বা ২.৭৫জি। নেটওয়ার্ক উন্নীত করার মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যায়। এ সুবিধার মাধ্যমে বর্তমান মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সংযোগ ব্যবহারকারীদের নিজেদের এবং অন্যের নেটওয়ার্কে কম মূল্যে ভিডিও কলসহ অন্য সুবিধাগুলো দিতে পারবে। এ ছাড়া এক সিমে ও স্থানে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগও দিতে পারবে।
 লাইসেন্স পাওয়ার পর
নিলামের মাধ্যমে থ্রিজি সেবা দেওয়ার লাইসেন্স পাওয়া চার মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে গ্রাহকদের সেবা প্রদান বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছে।
 গ্রামীণফোন
আগামী মাসে ঢাকা শহরের বড় অংশ ছাড়াও চট্টগ্রামে থ্রিজি সেবা চালু করবে গ্রামীণফোন লিমিটেড। নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে এ সেবা চালু হবে নভেম্বরের মধ্যে এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই সাতটি বিভাগীয় শহরে এ সেবা চালু করা হবে। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সুদ বলেন, “থ্রিজি-গ্রামীণফোন” বাংলাদেশের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। সবার কাছে দ্রুততম সময়ে ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়ে দেশকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করাই আমাদের লক্ষ্য।’ গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের থ্রিজি সেবা পেতে নতুন সিমকার্ড কেনার প্রয়োজন নেই। বর্তমান সিমেই পাওয়া যাবে থ্রিজি সেবা—জানালেন গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ তাহমিদ আজিজুর রহমান।
 রবি
অক্টোবরের মধ্যে ৩.৫জির মাধ্যমে থ্রিজি সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল ক্যুনার জানান, অক্টোবরে রবি স্বল্প পরিসরে থ্রিজি সেবা চালু করবে। এ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ৪০ শতাংশ গ্রাহকদের থ্রিজি সেবা প্রদান করা হবে। এ বছর ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেটে এ সেবা চালু হওয়ার পাশাপাশি ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ থ্রিজি সুবিধার আওতায় আসবে বলেও জানান তিনি। থ্রিজির জন্য রবি গ্রাহকদের সিম বদলাতে হবে না এবং মাইগ্রেশন করার জন্য কোনো বাড়তি ফিও দিতে হবে না।
 বাংলালিংক
বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড খুব শিগগিরই গ্রাহকদের থ্রিজি সেবা চালু করবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াদ সাতারা বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ নতুন এক অধ্যায়ে যুক্ত হলো থ্রিজি প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে। থ্রিজি লাইসেন্স পাওয়ায় আমরা এখন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব, যাতে আমাদের সম্মানিত গ্রাহকেরা তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তিনির্ভর সেবা পেতে পারে।’
 এয়ারটেল
থ্রিজির উন্নত সেবা দিতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে থ্রিজি সেবা দেওয়ার অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড। আর এ সেবাকে দ্রুততর করতে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি নেটওয়ার্ক সহযোগী হিসেবে কাজ করতে হুয়াওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস টবিট বলেন, বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়ন এবং বাকি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত টেলিযোগাযোগ বাজারের সমপর্যায়ে প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে থ্রিজি সেবা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। এ ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে থ্রিজি সেবা গুণক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে এবং দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করবে।
থ্রিজি প্রযুক্তির বেশি গতি এবং ব্যবহারযোগ্যতার কারণে উন্নতমানের সেবাগুলো মোবাইল ইন্টারনেটভিত্তিক হবে, যা গ্রাহকদের ব্যবহার অভিজ্ঞতা উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী প্রতিষ্ঠানটি। খুব শিগগিরই গ্রাহকদের জন্য থ্রিজি চালুর পাশাপাশি এয়ারটেল ইন্টারনেটভিত্তিক বিনোদনের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সেবাও চালু করবে।
 টেলিটকের সেবা
দেশে প্রথম থ্রিজি সুবিধা চালু করে মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। বর্তমানে টেলিটক ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে পূর্ণাঙ্গভাবে থ্রিজি সেবা প্রদান করবে। চলতি মাসেই কক্সবাজারে এ সেবা চালু হবে বলে জানালেন রাষ্ট্রায়ত্ত এ টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান। তিনি জানান, ‘আমাদের খরচ কিন্তু খুবই কম। প্রাথমিকভাবে শুধু কথা বলার জন্য যে খরচ, তা দিয়েই থ্রিজিতে কথা বলা যাবে। থ্রিজির সব সেবাতেই থাকছে ১০ সেকেন্ড পালস সুবিধা। এ ছাড়া বর্তমানে দেশের মাছরাঙা, দেশ টিভি, ইনডিপেনডেন্ট, আরটিভি ও এটিএন বাংলা দেখা যাবে। খুব শিগগিরই টেলিটক সারা দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় শহরে থ্রিজি-সুবিধা চালু করবে।